অবতক খবর: হাই-ভোল্টেজ সেমি-ফাইনালের আগে ভারতীয় ফুটবল টিমে নেই’র ফিরিস্তি লম্বা। দলের নির্ভরযোগ্য ডিফেন্দার সন্দেশ জিংঘানের না থাকা সঙ্গে হেডকোচ ইগর স্টিমাচের দাগ আউটে বসার ওপর নিষেধাঞ্জা। ভিআইপি গ্যালারিতে বসেই ম্যাচ দেখতে হল স্টিমাচকে। তবু জয় পেয়েছে ভারত শেষ চারের লড়াইতে।

লেবাননকেই মাত্র কয়েকদিন আগে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের ফাইনালে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। সেই লেবাননকে টাই ব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়ে ভারত এখন সাফ কাপের ফাইনালে, প্রতিপক্ষ কুয়েত। লেবানন যেমন দুটো গোল করার মত সুযোগ তৈরি করেছিল এবং একটি ক্ষেত্রে ভারতের গোলরক্ষক গুরপ্রীত অনবদ্য সেভ করেন, তেমনই ভারতও ওপেন চান্স না পেলেও লেবানন বক্সে সুযোগ পেলেই আক্রমণ করছিল। আশিক, থাপা, চাংতেরা বক্সের মধ্যে সূক্ষ্মতা দেখাতে পারেনি বলে প্রথমার্ধে গোল পেল না ভারত। কিন্তু চাপ বজায় ছিল।

মাঝেমধ্যেই মেজাজ গরম করতে দেখা গিয়েছে দু দলের ফুটবলাররা। ম্যাচের পরের ৪৫ মিনিটেও গোল হল না। ৭০ মিনিটের মাথায় রোহিত, আকাশ এবং মহেশকে একসঙ্গে নিয়ে আসে ভারত। এতে ভারতের খেলার ঝাঁঝ বাড়ে, বেশ কিছু কর্নার আদায় করে নেয় তারা। কিন্তু কিছুতেই ফিনিশিং হচ্ছিল না। ৯০ মিনিট শেষ করে অতিরিক্ত সময় চলে যায় খেলা। এই সময় দুটো সহজ সুযোগ হারান সুনীল ছেত্রী। একশো কুড়ি মিনিট শেষে ও ম্যাচ ছিল অমীমাংসিত। ফলে খেলা যায় টাই ব্রেকারে।

টাই ব্রেকারে সুনীলের প্রথম শট গোলে চলে গেল। এরপরেই গুরপ্রীত সেভ করে দেন মাতুকের শট। ভারতের পক্ষে গোল করেন আনোয়ার। গোল করেন মহেশ। উদন্ত গোল করেন। লেবাননের ভয় মিস করেন খলিল। ভারত জিতে পৌঁছে গেল ফাইনালে।অন্যদিকে, জাতীয় দলের জার্সিতে ৯২ গোলের মালিক ফুরফুরে মেজাজেই ছিলেন। সুনীল ছেত্রীর অবসরের জল্পনা আপাতত সাজঘরে।