অবতক খবর: অসুস্থ এবং ক্ষিপ্ত হাতিদের এক রাজ্য থেকে জোর করে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে অন্য রাজ্যে। এমনই অভিযোগ তুলেছেন খোদ রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর দাবি, ঝাড়খণ্ড থেকে মাঝে মধ্যেই উন্মত্ত এবং অসুস্থ হাতিকে জোর করে বাংলায় ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। তার ফলে প্রাণহানির ঘটনা বাড়ার পাশাপাশি জমির পর জমির ফসল নষ্ট হচ্ছে। আবার পালটা বাংলার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে ঝাড়খণ্ড সরকার। তাদের বক্তব্য, দুই রাজ্য সীমানা বরাবর পরিখা কেটে রেখে হাতির স্বাভাবিক রুট বন্ধ করে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। যার ফলে হাতি পশ্চিমবঙ্গে ঢুকতে না পেরে ঝাড়খণ্ডে তাণ্ডব চালাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এ বছর ঝাড়খণ্ডে হাতির হামলায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দিন কয়েক আগেই ঝাড়গ্রামে একটি হাতিকে ঘুম পাড়ানি গুলি করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার পথে হাতির মৃত্যু হয়। রাজ্যের বন বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই হাতিটির গলায় ঘা ছিল। তা থেকে গোটা শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল। বিভিন্ন জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছিল ওই হাতিটি। ঝাড়খণ্ডে থাকার সময় ওই হাতির হানায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। বাংলাতে আসার পরে ওই হাতির হানায় আরও ৩ মৃত্যু হয়।

বনমন্ত্রীর দাবি, ওই হাতটি ঝাড়খণ্ড থেকে বাংলায় এসেছিল। বনমন্ত্রীর মতে, সাধারণত অন্য কোনও পশুর গায়ে ঘা হলে তারা জিব দিয়ে সেই ঘা চাটতে থাকে। যার ফলে ঘা একসময় শুকিয়ে যায়। কিন্তু, হাতির তা পারে না। তাই দেওয়ালে বা গাছে হাতিরা গা ঘষতে থাকে। তার ফলে ঘা আরও বেড়ে যায় এবং এর ফলে হাতিরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।

যদিও হাতি বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, রাজ্যের সীমানা বরাবর নজরদারি বাড়ালেই হাতির অনুপ্রবেশ আটকানো যাবে। ঝাড়খণ্ডের প্রিন্সিপাল চিফ কনজারভেটর অফ ফরেস্ট সঞ্জয় শ্রীবাস্তব দাবি করেন, বাংলায় জোর করে কোনও হাতি পাঠানো হয় না বরং, পশ্চিমবঙ্গ সরকার পরিখা কেটে হাতির রুট ব্লক করে দিয়েছে। তাতে খুব ক্ষতি হচ্ছে। হাতি নিয়ে গত বছর অক্টোবর মাসে কলকাতায় বাংলা, ওডিশা ও ঝাড়খণ্ড সরকারের বৈঠক হয়েছিল ।