অবতক খবর: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ভাঙড়, ক্যানিং এলাকায় বারবার তৃণমূল ও আইএসএফ-বামেদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছে। মধ্যমগ্রাম, বারাসতের মতো জায়গাতেও আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এবার আচ এসে লাগল দেগঙ্গাতে । প্রাণহানির ঘটনা ঘটল। এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুললেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি। এর আগে ভাঙড়ের ঘটনায় শওকত মোল্লা অভিযোগ করেছিলেন বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে ভাঙড় অশান্ত করেছে নৌশাদের দল। সেই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই বহিরাগতদের এনে অশান্তি করার অভিযোগ করেছিলেন নৌশাদ।

এবার দেগঙ্গায় স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় সেই প্রসঙ্গ টেনে আইএসএফ বিধায়ক বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা বলছেন, এরা বাইরে থেকে লোক নিয়ে আসছে। তাহলে নিজেরাই কোথা দিয়ে যখন এত জানতে পারছে, প্রশাসন দিয়ে আটকাচ্ছে না কেন? অ্যাকচুয়ালি, তারা বোমাবাজি করছে, এলাকা অশান্ত করছে, আর আইএসএফের ছেলেদের দেখে দেখে মিথ্যা কেস দিচ্ছে।’

এই ঘটনায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য প্রশাসনকে একযোগে আক্রমণ করেছেন। শুভেন্দু বলেন, ‘তৃণমূল মৃত্যু চাইছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রেখেছে। জাতীয় সড়কে প্যারেড করানো হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। রাজীব সিন্হা মেরুদণ্ড বন্ধক রেখেছেন।’

উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় বাবার সামনেই বোমার আঘাতে প্রাণ গিয়েছে ১৭ বছরের স্কুল পড়ুয়ার। এই নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে গত ২৬ দিনে মৃত্যু হল ১৬ জনের। ফেরার পথে অতর্কিত আক্রমণ নেমে আসে ইমরানের খানের ওপরে। বাড়ির লোকের অভিযোগ, মিছিল করে বাড়ি ফেরার সময় তাকে লক্ষ্য করে আইএসএফ এবং সিপিএম সমর্থকরা বোমা ছোড়ে, গুলিও করা হয়। রক্তাক্ত ইমরানকে নিয়ে যাওয়া হয় দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি।

প্রথমে ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলেও, পরে পাল্টা আক্রমণ চালায় তৃণমূলও। আইএসএফ এবং সিপিএমের কয়েকজন কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর চলে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় গাড়ি ও খড়ের গাদা। পরিস্থিতি এতটাই তেঁতে ওঠে যে এলাকায় নামানো হয় RAF. চলে আসেন এসডিপিও। আততায়ীদের খোঁজে গ্রামজুড়়ে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। রাতেই বেশ কয়েকজন ধরে নিয়ে যায় দেগঙ্গা থানার পুলিশ। বুধবার সকালেও চলে ধরপাকড়।