অবতক খবর: ৮ জুলাই শনিবার রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। চাহিদা মতো বাহিনী পাচ্ছে রাজ্য নিবার্চন কমিশন। তাই আর দফা বদ্ধির কোনও প্রয়োজন নেই বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দফা বৃদ্ধির আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ প্রদেশ সভাপতির আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে শনিবার এক দফাতেই রাজ্যে নির্বাচন হবে।

অধীর চৌধুরীর আইনজীবী মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় শুনানিতে বলেন,’ভোটের আগেই ইতিমধ্যেই ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিদিনই রাজ্য ভোটকে কেন্দ্র করে অশান্তি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পর্যাপ্ত বাহিনী না পেলে দফা বৃদ্ধি করা উচিত।’

এর আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর কথা জানিয়ে আর স্পষ্ট করে বাকি বাহিনী পাঠানো নিয়ে কোনও ইঙ্গিত দিচ্ছিল না। চলছিল কমিশন-কেন্দ্র চিঠি চালাচালি। এরই মধ্যে সোমবার কমিশন আদালতে জানায় পঞ্চায়েত নির্বাচন সুশৃঙ্খলভাবে করার জন্য প্রযাপ্ত বাহিনী দিচ্ছে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে হাইকোর্ট মনে করছে আর দফা বৃদ্ধির কোনও প্রয়োজন নেই। তাই খারিজ হয়ে গেল অধীর চৌধুরীর আবেদন।

মঙ্গলবার অন্য একটি জনস্বার্থ মামলায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, বুথে সশস্ত্র বাহিনী রাখতে হবে। প্রতিটি বুথে ৫০ শতাংশ কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে ও ৫০ শতাংশ রাজ্যের বাহিনী থাকবে৷ ভোট গণনার দিন পর্যন্ত সমস্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

প্রসঙ্গত, অধীর চৌধুরীর আগে একই দাবিতে জনস্বার্থ মামলা করে ভাঙড়ে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। তাঁর যুক্তি হল, পঞ্চায়েত নির্বাচনে যদি পর্যাপ্ত বাহিনী পাওয়া না গেলে, তবে দফা বৃদ্ধি করা হোক। রাজ্যে গত একদশকে জেলার সংখ্যা, ভোটার এবং বুথে সংখ্যা বৃদ্ধির কথা জানিয়ে, তিনি ভোটের দফা বাড়ানোর দাবি তোলেন।

অন্য একটি মামলায় সোমবার আদালতে কমিশন জানায়, হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই হতে চলেছে পঞ্চায়েত ভোট। এর মধ্যে ৩৩৭ কোম্পানি আধাসেনা ইতিমধ্যে রাজ্যে এসে পৌঁছেছে। আর বাকি ৪৮৫ কোম্পানি আধাসেনা দ্রুত পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।