অবতক খবর: মণিপুর ইস্যুতে সংসদের দুই কক্ষে বিবৃতি দিন প্রধানমন্ত্রী। এই দাবি তুলে সোমবার সকাল থেকেই চাপ বাড়াল বিরোধী শিবির। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সংসদ ভবনের বাইরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্নাতে শুরু করল ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিকরা। হাজির তৃণমূল সাংসদরাও।

এদিনের ধর্নাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দলের প্রায় সব সাংসদকেই দেখা গেল হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান তুলতে। মণিপুরে হিংসা-অশান্তির ইস্যুতে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুসারে সোমবারের মধ্যে দিল্লি পৌঁছেছেন তৃণমূল সাংসদরা। সংসদ ভবনের বাইরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশ দেখা গেল সকলকেই। ইন্ডিয়া’র এই অবস্থান বিক্ষোভের নেতৃত্বে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি সকলকে রণকৌশল বুঝিয়ে দেন। বিরোধীদের মূল দাবি একটাই, লোকসভা ও রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রীকে মণিপুর নিয়ে বিবৃতি দিতে হবে।


এদিন ধরনার শুরুতেই সংবাদমাধ্যমের সামনে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে তোপ দেগেছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ”মণিপুরের ঘটনা থেকে নজর ঘোরাতে রাজস্থান, বাংলার প্রসঙ্গ তুলে আনছেন নেতা, মন্ত্রীরা। কিন্তু তাতে লাভ নেই। বাংলার সঙ্গে তুলনায় হয় না। বাংলায় কখনও ইন্টারনেট বন্ধ হয়নি। মণিপুরে তা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। কী ঘটছে, সকলেই তা বুঝতে পারছেন। প্রধানমন্ত্রী কোনও প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেন না। ২০২২-এর মধ্যে দেশের সবার মাথার ওপর ছাদ থাকবে। কিন্তু এখনও কত মানুষ ছাদহীন। আর এদিকে কত টাকা খরচ করে নতুন সংসদ ভবন তৈরি হয়েছে। লজ্জায় মাথায় হেঁট হয়ে যায়।”

সোমবার, সকালে বিরোধীদের আটকাতে বিজেপি সবার আগে ধর্না করে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে। বাংলার বিজেপি সাংসদরাই মূলত ছিলেন। সুকান্ত মজুমদার, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া, খগেন মুর্মুরাও বিরোধীদের ভূমিকা নিয়ে স্লোগান তোলেন। তবে তাঁদের নিশানায় ছিল মূলত মালদহে আদিবাসী মহিলাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা। তবে বিজেপির এই ধর্না তেমন দানা বাঁধতে পারেনি। উপস্থিতই ছিলেন না অধিকাংশ সাংসদ। আর তা নিয়ে হাসাহাসিও হয় বিরোধী মহলে।