অবতক খবর , রাজ্ , হাওড়া :-  বছর তিন আগে শ্যামপুর থানার ওসি সুমন দাসকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে মূল অভিযুক্ত মতিয়ার রহমান সহ মোট চোদ্দ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল হাওড়া আদালত।

আজ সাজা ঘোষণা করা হয়।২০১৮ সালের ৫ ই জানুয়ারি রাত এগারোটা নাগাদ ওয়ারেন্ট নিয়ে দুই অভিযুক্ত লিয়াকত মুন্সি ও মনিরুল মুন্সিকে গ্রেফতার করতে শ্যামপুর থানার বারগরচুমুক গ্রামে হাজির হয় পুলিশ টিম। তৎকালীন ওসি সুমন দাসের নেতৃত্বে পুলিশ যখন দুজনকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে তখন উলুবেড়িয়া আদালতের আইনজীবী মতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে তার দলবল হামলা চালায় পুলিশের ওপর।

ছিনিয়ে নেওয়া হয় দুই অভিযুক্তকে। লাঠি এবং লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে ওসি সুমন দাসকে খুনের চেষ্টা করা হয়। মাথায় ও শরীরে গুরুতর আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।দীর্ঘ সাত মাস হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বাড়ি ফিরলেও এখনো পুরোপুরি সুস্থ নয় সুমন দাস।সেদিনের এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিলেন।গ্রেফতার করা হয়েছিল ঘটনায় জড়িত চোদ্দজনকে।ঘটনার তদন্তকারী অফিসার রাজা মুখার্জী চার্জশিট জমা দেন।

পনেরজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। আজ হাওড়া আদালতের প্রথম অতিরিক্ত দায়রা বিচারক সর্বানি মল্লিক চট্টোপাধ্যায় আইনজীবী মুন্সি মতিয়ার রহমান সহ চারজনকে দশ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন এবং একইসঙ্গে দশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দু’বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।

অভিযুক্ত আরও আট জনকে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং দুজনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।তবে আসামিদের আজ আদালতে নিয়ে আসা হয়নি কোভিড পরিস্থিতির কারণে।ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাজা ঘোষণা করা হয়।ঘটনার দিন আক্রান্ত ওসি সুমন দাস আজ জানান এই ঘটনায় তার উচ্চপদস্থ অফিসার এবং সরকার পক্ষের আইনজীবীরা যেভাবে লড়াই করেছেন তা সত্যিই প্রশংসাযোগ্য।বিচার ব্যবস্থার জয় হয়েছে।