অবতক খবর,১৯ জানুয়ারি: আজ মৃণাল কান্তি সিংহ রায়,যিনি আবুদা নামে বিশেষ পরিচিত। তাঁর ষষ্টতম মৃত্যুদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করল মৃণাল কান্তি সিংহ রায় মেমোরিয়াল সোসাইটি। এই সোসাইটির নেতৃত্বে রয়েছেন তাঁরই বোন ইতু সিংহ রায়। আজ সার্কাস ময়দানে তাঁর স্মরণে জনহিতকর সেবার কার্যক্রম গ্ৰহণ করা হয় সোসাইটির পক্ষ থেকে। আজকের অনুষ্ঠান ছিল রক্তদান, শীতবস্ত্র প্রদানের অনুষ্ঠান। মৃণাল সিংহ রায় ছিলেন পার্টিবাজির উর্ধ্বে। যথার্থ রাজনৈতিক চেতনা সম্পন্ন একটি বিদ্রোহী সত্ত্বা। তাঁর জীবনের প্রিয় নেতা ছিলেন ক্ষুদিরাম বসু,বিপ্লবী বিপীন বিহারী গাঙ্গুলী। তিনি থানার মোড় সংলগ্ন বিপ্লবী বিপিনবিহারী গাঙ্গুলি স্মৃতি ভবন নামাঙ্কিত ভবন থেকে রাজনৈতিক কার্যকলাপ পরিচালনা করতেন। ক্ষুদিরাম বসু, বিপিন বিহারী গাঙ্গুলি ছিলেন তাঁর প্রিয় ব্যক্তিত্ব। তিনি যুব অবস্থামতেই স্থানীয় বেকারত্ব মোচনের জন্য ৩৬০০ যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছিলেন কাঁচরাপাড়া রেলওয়ে ওয়ার্কশপে। তখন থেকেই তিনি যুবকদের ভগবান নামে পরিচিত।

এছাড়া বিভিন্ন জনহিতকর কার্যে, প্রাকৃতিক বিপর্যয়–খরা,বন্যা, দুর্ভিক্ষে মানুষের পাশে তিনি নিঃস্বার্থভাবে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর কর্ম বিস্তৃতি ছিল কলকাতা পর্যন্ত। এদিকে কল্যাণী,ওদিকে হাজিনগর এইসমস্ত অঞ্চলে, কলকারখানায় তিনি বহু যুবকের কর্মসংস্থান করে দিয়েছেন।

আজ তাঁর প্রতিকৃতিতে সংকীর্ণ দলবাজির উর্ধ্বে উঠে সমস্ত শ্রেণীর মানুষ মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের নেতারা তাঁর সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য রাখেন তাঁর সহকর্মী, বন্ধু, আত্মীয়-স্বজন। বহু রাজনৈতিক নেতা তাঁর সম্বন্ধে বিশদ বলেন।এই সভায় কাঁচরাপাড়া, হালিশহর, ভাটপাড়া, ব্যারাকপুর সহ বিভিন্ন অঞ্চলের তৃণমূল দলের রাজনৈতিক নেতাদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি দেখা যায়। যদিও তাদের সমাজসেবী বলে উল্লেখ করা হয়। উল্লেখযোগ্যভাবে উপস্থিত ছিলেন জেলার সাধারণ সম্পাদক এবং বীজপুরের তৃণমূলের দলের চেয়ারম্যান সুবোধ অধিকারী ও স্থানীয় তৃণমূল রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীরা।