অবতক খবর: বিরোধী বৈঠক শুরুর আগেই দলগুলিকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পাল্টা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শুরুর আগে তিনি বলেন, দেশের রাজনীতিবিদদের কাউকে হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। অথচ প্রধানমন্ত্রী নিজে পরপর বিদেশ সফরে যাচ্ছেন। আসলে বিরোধী ঐক্য দেখে ভয় পাচ্ছে বিজেপি।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জাতি সংঘর্ষের জেরে অগ্নিগর্ভ হয়ে রয়েছে মণিপুর। বিরোধী ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের সেরাজ্যে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। অথচ এই সময়ে একের পর এক দেশে সফর করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আসলে বিরোধী দলগুলিকে একত্রিত হতে দেখে ভয় পাচ্ছেন মোদি। কিন্তু বিরোধীরা সকলেই একসঙ্গে রয়েছে। প্রসঙ্গত, গত এক মাসে আমেরিকা, ফ্রান্স-সহ মোট চারটি দেশে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, অগ্নিগর্ভ মণিপুরে প্রতিনিধি দল পাঠাতে চেয়েছিল তৃণমূল। শেষ পর্যন্ত মণিপুর সরকারের অনুরোধে সেই সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেলা হয়।

মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে শুরু হয়েছে বিরোধী বৈঠক। সেখানে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা আছে। ইউপিএ’র পরিবর্তে জোটের জন্য অন্য একটি নাম দিতে চাইছেন দলগুলি। এছাড়াও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি থেকে শুরু করে মণিপুরের অশান্তি, একাধিক বিষয় উঠে আসার কথা আছে এই বৈঠকে। তার আগেই প্রধানমন্ত্রীকে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদবের সঙ্গেই বৈঠকে উপস্থিত হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তার আগেই জাতি সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত মণিপুরে ইতিমধ্যেই ১৫০ জনেরও বেশি প্রাণ হারিয়েছেন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মণিপুর গিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সেখানে একাধিক হিংসা কবলিত এলাকায় তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। মণিপুরে যাওয়ার অনুমতি মেলেনি তৃণমূলের প্রতিনিধি দলেরও। সব মিলিয়েই প্রধানমন্ত্রীকে তোপ দাগলেন মমতা।