অবতক খবর,২৬ আগস্ট: হালিশহরের যুবক শুভেন্দু সরকার (রাজা)। তিনি বনগাঁ অঞ্চলের প্রাথমিক শিক্ষক। তাঁর নামে অভিযোগ ওঠে যে, তিনি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা করেছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে কোর্টেও তোলা হয়। কিন্তু পর্যাপ্ত প্রমাণের কারণে তিনি জামিন পেয়ে যান।

পরবর্তীতে বনগাঁ থানার পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে যে, শুভেন্দু সরকার চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে সেই অর্থ নেননি।

এর প্রমাণ সাপেক্ষে দুই পক্ষের স্বাক্ষর করা একটি চুক্তিপত্র পাওয়া গেছে।

সেখানে পরিষ্কার উল্লেখ করা হয়েছে যে, শুভেন্দু সরকার চলতি বছরের মার্চ মাসে স্বপন কান্তি মন্ডল, পরিতোষ মন্ডল,গৌতম সাধু এবং অঞ্জন মন্ডলের কাছ থেকে এককালীন ৫ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা নিয়েছেন তাঁর বিশেষ প্রয়োজনে।
ওই চুক্তিপত্রে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের ২রা মার্চের মধ্যে শুভেন্দু সরকার তাদের টাকা সম্পূর্ণ ফেরত দেবেন, নচেৎ তারা শুভেন্দু বাবুর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।


এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বাবু জানিয়েছেন,”ওই চুক্তিপত্রে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে বিবরণ দেওয়া আছে যে, ওই টাকা আমি কেন নিয়েছি, কবে নিয়েছি এবং কবে ফেরত দেব। যারা আমাকে টাকা দিয়েছেন তাদের স্বাক্ষর রয়েছে এবং কয়েকজন সাক্ষীর স্বাক্ষরও ওই চুক্তিপত্রের রয়েছে। কিন্তু তারা সবাই মিলে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এবং থানায় অভিযোগ দায়ের করে। কারণ স্থানীয় বনগাঁ অঞ্চলের কিছু সাধুরা আমার থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা করেছিল কিন্তু আমি সেই টাকা তাদের দিইনি। তাই তারা আমাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনেছে। কিন্তু আমাকে ফাঁসানোর পেছনে তাদের আসল উদ্দেশ্য কি তা আমি এখনও বুঝতে পারছি না। যদি আমি কোনো দোষ করতাম তবে আজ আমি আদালত থেকে জামিন পেতাম না।”

কিন্তু এদিকে এই বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে হালিশহর অঞ্চলে। শুভেন্দু সরকারের দাদা দিব্যেন্দু সরকার (গজা) যেহেতু তৃণমূল নেতা, তাই এর প্রভাব তাঁর উপরেও পড়েছে।
কিন্তু ওই চুক্তিপত্রে কোন দলের নাম উল্লেখ নেই, এমনকি উল্লেখ নেই শুভেন্দু সরকারের দাদা দিব্যেন্দু সরকার নামও।