অবতক খবর: ক্লাসে উপস্থিতির ভিত্তিতে নম্বর দেওয়ার রীতি উঠে যাচ্ছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এছাড়াও ৪ বছরের স্নাতকস্তরের কোর্সে যে সমস্ত নতুন নিয়ম এসেছে, তারমধ্যে রয়েছে ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টের ভিত্তিতে নম্বর দেওয়ার নিয়ম সরিয়ে টিউটোরিয়াল বা প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা। এই নিয়ম চার বছরের স্নাতকস্তরের কোর্সের ক্ষেত্রে শুরু হতে চলেছে। এতে পড়ুয়াদের লাভ হবে বলে আশা বিশ্ববিদ্যালয়ের।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইডলাইন বলছে, যে পড়ুয়ার মোট ক্লাসের মধ্যে ৬০ শতাংশ উপস্থিতি রয়েছে, তাঁকে সেই সেমেস্টারের পরীক্ষায় বসার যোগ্য বলে বিবেচনা করা হবে না। তাঁকে পরের বছরের সেমিস্টারের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। পরের বছরের সেমেস্টারে ভর্তি হয়ে ক্লাসে উপস্থিতির হার সঠিক বজায় রাখলে, তবেই তিনি পরীক্ষায় বসতে পারবেন। নতুন নিয়ম নিয়ে নিউ আলিপুর কলেজের প্রিন্সিপাল জয়দীপ সারাঙ্গী বলছেন,’এটা পড়ুয়াদের সাহায্য করবে, যদি বিশ্ববিদ্যালয় ডুয়েল কোর্স ভবিষ্যতে চালু করে তাহলে।’ তিনি এটাও বলছেন যে, শুধু নম্বরের জন্য ক্লাসে উপস্থিত হওয়ার দরকার পড়বে না পড়ুয়াদের।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ৪ বছরের স্নাতকস্তরের কোর্সে যে নতুন নিয়মের তালিকা এসেছে, তাতে রয়েছে, এবার থেকে আর উপস্থিতির নিরিখে নম্বর দেওয়া হবে না পড়ুয়াদের। এর আগে উপস্থিতির নিরিখে ১০ নম্বর থাকত বরাদ্দ। উপস্থিতি ৭৫ শতাংশ হলে তবে পরীক্ষায় পড়ুয়ারা বসতে পারবেন, উপস্থিতি ৬০ থেকে ৭৫ শতাংশ হলে ‘কন্ডোনেশন’ ফি দিয়ে বসতে হবে পরীক্ষায়।

আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে নিয়ম চালু ছিল, তাতে দেখা গিয়েছে, পরীক্ষার্থীদের ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্ট ও টিউটোরিয়া বা প্র্যাক্টিক্য়াল পরীক্ষা দুটোই দিতে হত। নতুন নিয়মে, হয় টিউটোরিয়াল বা প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা দুটি দিতে হবে। তবে কোনও ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্ট সরিয়ে, হয়, টিউটোরিয়াল নয়তো প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা দেওয়ার নিয়ম। এছাড়াও কড়া বার্তায় গাইডলাইনে বলা রয়েছে যে, ৭৫ শতাংশ উপস্থিতি না হলে, পড়ুয়াদের বসতে দেওয়া হবে না সেমেস্টারের পরীক্ষায়।