অবতক খবর: পঞ্চায়েত ভোটের আগেই গ্রেফতার করা হতে পারে, এই আশঙ্কা প্রকাশ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ আদালতের কাছে রক্ষাকবচ চেয়েছেন। আদালতে তাঁর আবেদনে সৌমিত্র জানিয়েছেন, সোনামুখী থানার আইসির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করা হয়েছে। সেই মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ।

বুধবার তিনি হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলা দায়ের করার আবেদন জানান। বিচারপতি তাঁকে মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন। শুক্রবার এই মামলার শুনানি সম্ভাবনা রয়েছে। বাঁকুড়া সোনামুখী ব্লকের মানিকবাজার এলাকায় দু’শোটির অধিক স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। সেই গোষ্ঠীগুলির প্রায় ৩ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ ওঠে কোষাধ্যক্ষ এবং দুটি ব্যাঙ্কের কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয় সোনামুখী। এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে বিজেপি।

সেই আন্দোলনের সূত্রে সোনামুখীতে পথসভা করেন সৌমিত্র। সভায় বিজেপি সাংসদ থানার আইসিকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন। এমন কী তাঁকে তুই-তোকারিও করেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ। তহবিল তছরুপের ঘটনায় আইসি তোলা নিয়েছে বলেন অভিযোগ করেন সাংসদ। গত ১১ এপ্রিলের সভা থেকে সৌমিত্র খাঁ আইসিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,’আমরা আইসিকে হাইকোর্টে ডেকে পাঠাবো। তারপর কী করা যায় দেখব।’

সৌমিত্র আদালতে জানিয়েছেন, সম্প্রতি বাকুঁড়ার সোনামুখীতে একটি জনসভায় থানার আইসি-র বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তোলেন। তার পরই বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ওই সব মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলেও আদালতের কাছে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সৌমিত্র। তাই আদালত যাতে তাঁকে রক্ষা কবচ দেয়, সেই আবেদেন জানিয়েই হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপি সাংসদ।

প্রসঙ্গত ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে একটি মামলার প্রক্ষিতে আদালতের নির্দেশে বাঁকুড়া জেলাতেই প্রবেশ করতে পারেননি সৌমিত্র খাঁ। সেই সময় তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতাকে প্রচার করতে দেখা যায়। এবার পঞ্চায়েত ভোটের আগেও তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁর আশঙ্কা, ভোটের আগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে। তাই রক্ষাকবচ পেতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সৌমিত্র খাঁ।