অবতক খবর: তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের প্রস্তুতি-সভার মঞ্চে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং সহ-উপাচার্যের উপস্থিতি নিয়ে বিতর্ক ছড়াল। বুধবারের ওই অনুষ্ঠানে রেজিস্ট্রার বক্তৃতাও করেন। বিষয়টাতে জলঘোলা হতেই ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য উঠে আসছে।

গত বুধবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূলের শিক্ষাকর্মী সংগঠনের উদ্যোগে ক্যাম্পাসের ত্রিগুণা সেন প্রেক্ষাগৃহে ওই সভার আয়োজন করা হয়েছিল। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক জন তৃণমূল শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী নেতা। মঞ্চে ছিল ২১ জুলাইয়ের সভা নিয়ে পোস্টার। বিতর্ক এই জায়গাতে যে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু তৃণমূলের উত্তরীয় পরে বক্তৃতা দেন। পাশপাশি, সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যকে মঞ্চে ফুল নিতে দেখা যায়।

বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের জানান, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পক্ষের অনুষ্ঠানে যান। এখানে যাওয়ার অনুরোধ পাওয়ায় গিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ‘‘কোনও রকম রাজনৈতিক বক্তৃতা করিনি। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বলেছি।’’ অন্য দিকে সহ-উপাচার্যের বক্তব্য, “তিনি ক্যাম্পাসের তিন নম্বর গেট দিয়ে ঢুকে নিজের দফতরে যাওয়ার সময়ে ত্রিগুণা সেন প্রেক্ষাগৃহের সামনে তাঁকে ডাকা হয়। তিনি হলে ঢোকেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই বেরিয়ে যান। চিরঞ্জীবের যুক্তি, দীর্ঘদিন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার কারণে তাঁর সঙ্গে সব শিক্ষাকর্মীর সম্পর্ক অত্যন্ত ভাল। তাঁদের অনুরোধে তিনি কিছুক্ষণের জন্য ওই সভায় গিয়েছিলেন”। কিন্তু এতেও বিতর্ক থামছে না।

গোটা বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন সহ-উপাচার্য সিদ্ধার্থ দত্ত বলেন, ‘‘পদে থাকলে কোনও দলীয় কর্মসূচিতে না যাওয়াই কাম্য।’’ যাদবপুরের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায়ের কথায়, ‘‘পদাধিকারীরা যদি এমন কাজ করেন, তা হলে তাঁদের কাছ থেকে পক্ষপাতহীন মনোভাব আশা করা যাবে কী করে?’’