অবতক খবর,১৯ জুন: হুকুমচাঁদ জুটমিল পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম জুটমিল। এই জুটমিলটি আসলে পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম জুটমিল বলে এতদিন সুপরিচিত ছিল। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের আমল থেকেই এই জুটমিলটি তার উৎপাদন, কর্মপদ্ধতিতে উৎকর্ষ প্রদর্শন করেছিল।

সেই জুটমিল এখন বিপর্যয়ের মুখে। শ্রমিকরা বিধ্বস্ত,তাদের বেতন নিয়মিত নয়, যখন তখন তাদের কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয় এবং শ্রমিক মহল্লা বা বস্তিগুলিতে কোন স্বাস্থ্য পরিষেবা মূলক ব্যবস্থা নেই। এ ব্যাপারে জুট মিল কর্তৃপক্ষ বড় উদাসীন। ‌অনুসন্ধান করে দেখা গেছে যে, জুটমিল মহল্লায় বেশিরভাগ শ্রমিকেরই কোয়ার্টারগুলির ভগ্নপ্রায় অবস্থা এবং পয়ঃপ্রণালীর খারাপ অবস্থা। শৌচাগার সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলোতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এই বিষয়গুলিকে কেন্দ্র করে বীজপুর বিধায়ক সুবোধ অধিকারী জুটমিল মালিক পক্ষের সঙ্গে হালিশহর পৌরসভায় আলোচনায় বসেন। এই আলোচনা সভায় আটটি শ্রমিক ইউনিয়ন উপস্থিত ছিলেন। তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত। মালিকপক্ষের প্রতিনিধি সিইও এস.কে চন্দ্রা সেখানে প্রতিনিধিত্ব করেন।

যখন ইউনিয়নগুলোর কাছে সুবোধ অধিকারী, শ্রমিকদের অবস্থা পর্যালোচনা করার জন্য তাদের বক্তব্য শুনতে চান,দেখা যায় দুটি মাত্র ইউনিয়ন ছাড়া বাকি ইউনিয়নগুলি বলেন, অবস্থা ঠিকই আছে। অর্থাৎ বোঝাই যায় যে তারা মালিকপক্ষের হয়ে একধরনের দালালি করছেন। অর্থাৎ মালিকপক্ষের সঙ্গে ইউনিয়নগুলোর যোগাযোগ রয়েছে। সিটু অনুমোদিত ইউনিয়নের প্রতিনিধি ওই আলোচনা সভায় সরব হন এবং জুট মিল শ্রমিকদের দুরবস্থার কথা ব্যাপকভাবে তুলে ধরেন।

বিধায়ক সুবোধ অধিকারী সম্পূর্ণরূপে মালিকপক্ষকে জানিয়ে দেন যে, অবিলম্বে শ্রমিকদের বিষয়টি আলোচনা করতে হবে। ‌তাদের স্বাস্থ্য চেতনা, সুরক্ষায় ‌নজর দিতে হবে এবং তাদের বেতন নিয়মিত করতে হবে।যখন তখন কর্মীদের বসিয়ে দেওয়া চলবে না। ‌তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন যে, অনতিবিলম্বে শ্রমিকদের এই দুরবস্থা দূর করতে হবে। পরে তিনি দায়িত্ব নিয়ে দেখবেন শ্রমিকরা তাদের যথোপযুক্ত মর্যাদা,সম্মান,বেতন পাচ্ছেন কিনা। পরবর্তীতে এসব উচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করে তিনি ব্যবস্থা নেবেন।