আজ বাদ্যযন্ত্র ক্রয় দিবস
তমাল সাহা

আজ সকালে উঠে এসরাজ-বাদন শুনি।
তারা জানালো, আজ একটি বাদ্যযন্ত্র ক্রয় দিবস। আমি বাদ্যযন্ত্র বাদনের সুরধ্বনি শুনি। বিশেষ করে অঙ্গুলি সঞ্চালনের দিকে লক্ষ্য রাখি। সুরের শ্রবণ ও সঞ্চালনের পর্যবেক্ষণ আমাকে মাতিয়ে রাখে।

কিন্তু এসব বাদ্যযন্ত্র মিউজিক নোটেশন স্বরলিপি কারা জানে, কারা লেখে এবং শোনে? সুরঙ্গম স্বরঙ্গম সরগম শব্দগুলি ভালো। ধ্রুপদী সঙ্গীত–কত সব সমঝদারজন!ডোভার্স লেন শব্দটি শুনি। সেখানে কারা যায়?

ভাত চাই! ভাত দেবেন ভাত! এমন স্বরলিপি কোনো বাদন যন্ত্রে বাজানো যায় কিনা জানিনা। তবে আজ পর্যন্ত আমি শুনিনি।
আমার কোনো বাদ্যযন্ত্র নেই‌। কিনবারও প্রয়োজন নেই। আমি বাদন শিল্পী নই। বাজাতেও জানিনা, বাজনদার নই।

আমার বুকের ভেতর বাদ্যযন্ত্র আছ। সে অন্তর্জগৎ বহির্জগৎ দেখতে পায়। সে যন্ত্র স্বয়ংক্রিয়, নিজে নিজেই বেজে ওঠে।

সঠিক জানিনা তবে শুনি বিশ্বে ৪ শতাধিক বাদ্যযন্ত্র রয়েছে। কোনটি কেনা যথাযথ হবে আমি জানিনা। এসরাজ,সেতার, সন্তুর, বেহালা– এসব নাম কেন আমি জানিনা। এসব যন্ত্রে কটি তার থাকে?

আমার বুকে অগণন তার ও আনদ্ধ বাদ্যযন্ত্র আছে।

আর মুখ-ই আমার শুষির যন্ত্র!