অবতক খবর,১৯ জুন: ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট এবং প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসের তৎকালীন প্রার্থী তথা বর্তমানে বিধায়ক পার্থ ভৌমিক (নৈহাটি), সুবোধ অধিকারী (বীজপুর), সোমনাথ শ্যাম(জগদ্দল), রাজ চক্রবর্তী(ব্যারাকপুর) গিয়েছিলেন তাঁরাপীঠ মায়ের পুজো দিতে। সেখানে গিয়ে তাঁরা মায়ের কাছে এই প্রার্থনাই করেছিলেন যে, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন হন। তিনি যেন নবান্ন দখল করে রাজ্যবাসীর সেবা করতে পারেন। সেই সঙ্গে তাঁরা মায়ের কাছে এও কামনা করেন যে,সন্ত্রাসবাদী দল বিজেপির হাত থেকে যদি কেউ বাংলাকে বাঁচাতে পারেন,তবে তিনি হলেন তাঁদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষকে শোষন করা থেকে শুরু করে মূল্য বৃদ্ধি,সন্ত্রাস, হানাহানি, খুনোখুনি তা একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রুখে দিতে পারেন। তাই তাঁর হাতেই যেন বাংলা থাকে,এই মনকামনা নিয়েই তাঁরা মায়ের পুজো দেন।

এরপর বিধানসভা নির্বাচন হয় এবং ফলাফলে দেখা যায়, নবান্ন নেত্রীর দখলেই থাকে এবং তিনি তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হন। অর্থাৎ তাঁদের মনস্কামনা পূর্ণ হয়েছে।

যেহেতু মা তাদের ডাকে সাড়া দিয়েছেন, তাঁদের মনকামনা পূর্ণ করেছেন,তাই তাঁরা আজ আবার চলে গেছেন মায়ের কাছে।

আজ এই চারজন বিধায়ক আবারো তাঁরাপীঠ গেছেন এবং মায়ের পুজো দিয়েছেন।

এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন দিল্লি দখল করতে পারেন,এই মনোবাঞ্ছা নিয়ে তাঁরা আজ মায়ের পুজো দেন।

যেভাবে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রাজ্য তথা রাজ্যের মানুষকে আগলে রেখেছেন,ঠিক সেইরকমভাবেই যেন দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে দেশবাসীর সেবা করতে পারেন।

আজ তাঁরা তারাপীঠে গিয়ে হাতজোড় করে মায়ের কাছে তাদের এই মনের কথা জানালেন।

এ প্রসঙ্গে তাঁরা বলেন,রাজ্য থেকে বিজেপি গেছে। এবার দেশ থেকে তাদের উৎখাত করতে হবে। বিজেপির আমলে সুইস ব্যাংকে কালো টাকা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেখানে দেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, দেশের টাকা দেশেই ফিরবে। কিন্তু উল্টোটা ঘটে চলেছে।‌ চলছে মানুষকে বোকা বানানো। তালি বাজাও,থালি বাজাওয়ের এই সরকার,আর নেই দরকার। তাই আমরা আগামীতে আমাদের নেত্রীকে দেশের প্রধানমন্ত্রী রূপে দেখতে আজ মায়ের কাছে পুজো দিতে এসেছি। যেভাবে মায়ের আশীর্বাদে দিদি তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন,ঠিক সেইভাবেই যেন মায়ের আশীর্বাদেই দিদি প্রধানমন্ত্রী হন। আর এই বিজেপি সরকারের রাজত্ব শেষ হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই একমাত্র মহিলা নেত্রী,যার জন্য আমাদের পশ্চিমবঙ্গে সকল ধর্মের মানুষ একসঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে নিজেদের রুটিরুজি চালাচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গের মত দেশের মানুষও যাতে ঠিক এইভাবেই থাকতে পারে,তাই ২০২৪-এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হতে দেখা আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। মা এবার যেমন আমাদের ডাকে সাড়া দিয়েছেন,আশা করছি আমাদের এই মনোস্কামনাও মা পূর্ণ করবেন।