অবতক খবর: পাটনায় বিরোধী বৈঠকে সিপিএমের সঙ্গে এক টেবিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকায় তৃণমূল নেত্রীকে খোঁচা দিলেন স্মৃতি ইরানি। ইন্দোরের সভায় দাঁড়িয়ে স্মৃতি ইরানি বলেন, ‘যাঁরা বাংলার রাজনীতি জানেন, তাঁদের মনে থাকবে এক সময়ে এই বামেরাই মমতাদিদিকে চুলের মুঠি ধরে রাস্তায় ফেলে মেরেছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার লালুজির পা ছুঁলেন। অথচ সংসদে দাঁড়িয়ে লালুজিকেই তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত বলেছিলেন।‘

স্মৃতি সিপিএম এবং কংগ্রেসকেও একযোগে আক্রমণ শানিয়ে সভায় বলেন, ‘পাটনায় বাম এবং কংগ্রেসের জোট হচ্ছে, এদিকে কেরালায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে জেলে পুরছে বামেরা।’ অবশ্য চুপ করে বসে থাকেনি সিপিএম। স্মৃতির সমালোচনার উত্তরে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শমীক লাহিড়ি প্রতিক্রিয়াতে বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী সঙ্ঘের হাতে পরিচালিত বিজেপিকে ক্ষমতচ্যুত করা বামপন্থীদের মূল লক্ষ্য। প্রতিটি রাজ্যের পরিস্থিতি অনুযায়ী বিজেপি বিরোধী ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে একজোট করছে বামেরা। সেই কারণে ভয় পেয়েছে বিজেপি।’

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ওই সভায় দাঁড়িয়ে এও বলেন,’নেকড়েরা যখন শিকারে যায়, তখন দল বেঁধে যায়। কিন্তু নেকড়ে কখনও সিংহের শিকার করতে পারে না। মা-বোনেদের আশীর্বাদধন্য সিংহকে নেকড়েরা শিকার করবেই বা কী করে!’ নাম না করে বিরোধীদের নেকড়ে এবং নরেন্দ্র মোদীকে সিংহের সঙ্গে তুলনা করেছেন স্মৃতি।স্মৃতি ইরানির কাছ থেকে এমন মন্তব্য আসার পর কড়া জবাব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই নিয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে দেওয়ায় এনডিএ-ই এখন কার্যত উঠে গিয়েছে। কর্নাটকে হেরে যাওয়ায় দক্ষিণ ভারতে বিজেপি শূন্য। আগামী পাঁচ রাজ্যে যে ভোট হবে, সেখানেও বিজেপি হারতে চলেছে।’ তাঁর কথায়, ‘সেই জায়গায় এতগুলি বিরোধী দল একজোট হওয়ায় বিজেপি আতঙ্কিত হয়েছে। বিদায় ঘণ্টা বেজে গিয়েছে বুঝেই প্রলাপ বকছেন বিজেপির এই নেত্রী।’

সভায় দাঁড়িয়ে যেভাবে নেকড়ে সিংহের প্রসঙ্গ উঠেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছ থেকে সেই নিয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ বলেন, ‘২০২১ সালের নির্বাচনে বাইরে থেকে তথাকথিত অনেক বাঘ-সিংহ পশ্চিমবঙ্গে এসেছিল। কিন্তু তারা যে আসলে বেড়াল তা ভোটের রায়ে মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছেন।’ সব মিলিয়ে বিজেপি বিরোধী দলের বৈঠকে একই টেবিলে সিপিএমের সঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমোর বৈঠক বঙ্গ রাজনীতিতে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে।