ভারতবর্ষ কোন দিকে যায়! আবার বুঝি রক্তপাত হবে এখানে ওখানে রাস্তায়।
নজর রাখো হে ভারতীয় মানুষ!
সজাগ থাকুক তোমার কান্ড জ্ঞান হুঁশ!

শোনো হে মানুষ
তমাল সাহা

১)
এ বলে,আল্লাহু আকবর!
ও বলে, জয় মা কালী!
আমি মন্দির মসজিদে যাই
দেয়ালে কানপাতি, শুধু শব্দব্রহ্ম শুনি
নরবলি! নরবলি!

২)
বৌদ্ধ স্তূপ ভেঙেছে কারা
কারা গড়েছে মন্দির
মন্দির ভেঙেছে কারা
কারা গড়েছে মসজিদ?
কালচক্রে বেলা যায়
সকলেই এখন জেহাদি
বজায় রাখতে চায় নিজেদের জিদ।

সবাই বলে ফিরিয়ে দাও আমাদের স্থান
রুটিরুজি না থাকুক চাই ধর্মীয় উত্থান।
আমি তো আচাভুয়ো এক, এখন কি করি
মন্দির মসজিদ না বৌদ্ধবিহার গড়ি!

৩)
উলঙ্গ শব্দটি শুনতে খারাপ নয়
শুনতে খারাপ হয় যদি বলি ন্যাংটা।
ধর্মের নেশায় বুঁদ আমরা
এর চেয়ে ভালো নেশা– মদ গাঁজা ভাং-টা।

নগ্ন শব্দটিও শুনতে ভালো
বিবস্ত্র হলেই হয় নাকি নাঙ্গা!
যতক্ষণ না আমরা আগুন নিয়ে খেলি
বেঁধে যায় খুনোখুনি রক্তপাত দাঙ্গা।

৪)
আবহাওয়া বুঝিনা কিছুই, হাওয়া মোরগ কোন দিকে ঘোরে!
আমি শুধু ভয় পাই, আতঙ্ক ঘিরে ধরে।

কী জানি জ্ঞানবাপী না জ্ঞানপাপী!
দই দেখে ভয় পাই যদি চুন হয়
ভয়ে ভয়ে কাঁপি।

কত যে লিঙ্গ পুং-স্ত্রী ক্লীব-উভলিঙ্গ
এবার আবার বিশাল শিবলিঙ্গ।
রক্তপাত খুন আগুন দক্ষিণ মহাসাগরকে করবে কি উলঙ্গ?

অযোধ্যা মথুরা বৃন্দাবন বারাণসী কাশী–
প্রশ্নের নেই কোন শেষ
নামটি তার ভেসে ওঠে উত্তর প্রদেশ
ধর্মের জিগির তোলে, পরিপূর্ণ হিংসা দ্বেষ।