অবতক খবর,২৪ মেঃ স্মরণ্য বা স্মরণ্যা— আমরা এক লিঙ্গ দুই লিঙ্গ তৃতীয় লিঙ্গ এসব বুঝিনা। লিঙ্গ শব্দটাই অশ্লীল। এটা যৌনাঙ্গের কথা মনে করিয়ে দেয়ৃ মানুষ মানুষ-ই, মনুষ্যত্ব মানবিকতা তার বড় পরিচয়। সেখানে লিঙ্গের কোন প্রশ্নই ওঠে না।

স্মরণ্যা নিজেকে নারী বলতেই ভালোবাসে। তবে সে এখন আমাদের কাছে শরণ্য বা শরণ্যা– তাকে আশ্রয় করে আমরা বাঁচতে চাই। সে স্বাধীন মুক্তমনা। তার জনক জননীকেও আমাদের প্রণাম। তারা সামাজিক দায়িত্বে তাকে লালন-পালন করেছেন প্রজন্ম হিসেবে, কন্যা বা পুত্র জাতিকা বা জাতক হিসেবে নয় তাকে তারা জাত হিসেবে মর্যাদা দিয়েছেন।

স্মরণ্যা উচ্চ মাধ্যমিকে সপ্তম হয়েছে। ঠিকানা পূর্ব পায়রাগাছা, জনাই, হুগলি। অনেকে ‘ছেলে থেকে মেয়ে হয়ে ওঠার গল্প’ বলছে তার বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে। আমরা তার মানুষ হয়ে ওঠার কাহিনীকে সম্মান জানাচ্ছি। সে জনাই ট্রেনিং হাই স্কুলে পড়েছে‌। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মশাইয়ের আমলের স্কুল। প্রতিষ্ঠা কাল ১৮৫০। নারী শিক্ষা প্রসারের আলোচনা সভায় দুবার এই স্কুলে পা রেখেছেন বিদ্যাসাগর মশাই। প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াকু স্মরণ্যার জয় হোক!