অবতক খবর,২৪ মেঃ বাংলার আকাশ বাতাস জুড়ে এখন উত্তাল হাওয়া। বড় বড় ধেড়েরা যখন নিশ্চুপ তখন প্রেরণা পাল তুলে দিয়েছে সোচ্চারে প্রতিবাদী হাওয়া। প্রেরণা পাল এবার উচ্চমাধ্যমিকে ৪৯৩ নম্বর পেয়ে চতুর্থ স্থান অর্জন করেছে। তার প্রাপ্ত নম্বর আটানব্বই দশমিক ছয় শতাংশ। গোবরডাঙ্গা ইছাপুর হাইস্কুলের শিক্ষার্থী সে।

সেরা কৃতিত্বের অন্যান্য অধিকারীরা যখন রাজনীতি এড়িয়ে যেতে চাইছে তখন প্রেরণা শপথ নিয়েছে ‘পিছাবনীর‌’। সে সোজা সাপটা জানিয়ে দিয়েছে সে হতাশ। সে অকপটে অন্ধকার বিষবাষ্প ধোঁয়াশা শব্দগুলি উচ্চারণ করেছে। সে বলেছে, আগে মানুষ হই। তারপর মানুষ গড়ার কারিগরের কথা ভাববো। সে বলেছে, শিক্ষকরা হলেন মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষক্ষেত্রে চাকরি পেতে গিয়ে দিনের পর দিন দাদা-দিদিরা যেভাবে সংগ্রাম লড়াই করছে তা দেখে সে ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ। এই দুর্নীতি বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে এই দুর্নীতি চলতে পারে না।

সে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করতে চায়। বই পড়া লেখালেখি তার পছন্দ। সে গবেষণায় থাকতে চায়। অন্য মেধাবীরা যখন নীরব নিস্তব্ধ নিশ্চুপ তখন সে বলে দিয়েছে,কবি যেমন বলেছেন, এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না, তেমন তাকে অনুসরণ করে আমার সত্যি বলতে ইচ্ছে করছে, এই দুর্নীতি ভরা রাজ্য আমার রাজ্য না।

তথাকথিত শিল্পী সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবীদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছে উচ্চমাধ্যমিকে চতুর্থ স্থান অর্জনকারী এই শিক্ষার্থী প্রেরণা পাল।