অবতক খবর,১৭ এপ্রিল: রামনবমীর রাতেই চললো ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে গুলি।ঘটনাস্থল সেই ভাটপাড়া।ভাটপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ১৩ নম্বর গলি ধর্মশালা এলাকায় চললো বুধবার রাতে গুলি।গুলিতে গুরুতর জখম এক তৃণমূল কর্মী। পিন্টু চৌহান নামে তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়।স্থানীয় হাসপাতালে প্রথম নিয়ে যাওয়া হয় গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী কে,পরবর্তীতে তাকে স্থানান্তরিত করা হয় বি এন বসু হাসপাতালে। প্রকাশ চৌধুরী নামে একজনের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ।অভিযুক্ত বিজেপি কর্মী বলে অভিযোগ।

স্থানীয় ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনোজ কুমার পান্ডের দাবি এই গুলি চালানোর ঘটনায় অর্জুন সিং জড়িত,২০১৯ এও একই ঘটনা ঘটেছে।যে গুলি চালিয়েছে সে বিজেপি করে,জেরায় শিকার করেছে,জানান স্থানীয় কাউন্সিলর।

অন্যদিকে অর্জুন সিং জানান যে গুলি চালিয়েছে অর্থাৎ প্রকাশ,সে একজন খুনি আসামি,এর আগে তার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আছে,প্রকাশ রাজ পান্ডের শুটার।রাজ পান্ডে হল মনোজ পান্ডের ভাগ্নে।রাজ পান্ডে পুলিশ দিয়ে এই প্রকাশ কে গ্রেপ্তারও করিয়েছিলো।পরে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়,এরপরেও প্রকাশের বিরুদ্ধে একাধিক দুষ্কৃতিমূলক কাজের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে।

অর্জুন সিং আরও বলেন পার্থ ভৌমিক এইসব ব্যপারে বাচ্চা ছেলে আছে,তৃণমূল কে কোন জায়গায় ও পৌছে দিয়েছে,তৃণমূল গুন্ডাদের হাতে চলে গেছে,আর দিদিমণি এই বাচ্চাদের ছোট শিশু ভাবেন।তৃণমূল, পুলিশ আর গুন্ডাদের মিলে গুন্ডাদের পার্টি হয়ে গেছে।আর এই পুলিশ আর গুন্ডাদের পার্টিকে নিয়েই আমাদের ঘর করতে হচ্ছে।প্রকাশ কোন পার্টি করে আর না করে তা পুলিশের খাতায় আছে। প্রকাশ বিজেপি করে সেটা কি যার গুলি কেগেছে সে বলেছে!সোমনাথ শ্যাম,মনোজ পান্ডে দিন রাত থানায় বসে থাকে।থানার পিছনে মদের ঠেক চলে,কোথায় পুলিশ কি করবে, কোথায় কাকে ছাড়াতে হবে এরাই দেখে।পুলিশ এলাকা উত্তপ্ত করছে,এই ঘটনার সাথে রাম নবমী র কোন যোগাযোগ নেই।এই ঘটনা ঘোটাটাই সমাজবিরোধীদের কাজ।মন্তব্য অর্জুন সিং।।