অবতক খবর: কল্যাণীর সগুনার ৬৭/১ নম্বর বুথে পুননির্বাচনে বিরোধিদের কোনও এজেন্ট খুঁজে পাওয়া যায়নি। পুলিশ গ্রামে ঢুকে মাইকে করে এজেন্টদের বুথে আসার অনুরোধ জানাতে থাকে। অনেকক্ষণ সময় কেটে যাওয়ার পর পুলিশ যেনতেন প্রকারে দুজন বিরোধী দলের এজেন্টকে বুথে বসায়।তবে বুথে এজেন্টকে বসালেও বুথে গ্রামবাসীরা ভোট দিতে তেমনভাবে এগিয়ে এলেন না। যদিও এবুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা মোতায়েন ছিলেন। সঙ্গে পুলিশের কর্মীরা এই বুথে ভারী সংখ্যায় ছিল।

উল্লেখ্য, গত শনিবার ভোট গ্রহণের দিন এই বুথেই তৃণমূলের সশস্ত্র গুণ্ডারা গ্রামবাসীদের ভোট দিতে দেয়নি বলে অভিযোগ। গ্রমাবাসীরা জানান, তাঁরা অস্ত্র নিয়ে ভোটকেন্দ্র দখল করে সমস্ত ব্যালটে ছাপ দিয়ে ব্যালট বক্স ভরে ফেলে। অভিযোগ উঠছে, পঞ্চায়েত ভোটের দিন গ্রামবাসীরা ভোট দিতে গেলে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। পরে সমস্ত গ্রামের লোকেরা সংগঠিত হয়ে গুণ্ডাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। গ্রামবাসীরা একত্রিত হতেই গুণ্ডারা ভোটকেন্দ্র ছেড়ে পালিয়ে যায়। তারপর বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা ভোটকেন্দ্রে ভাঙচুর চালায় এবং ব্যালট বক্স বুথ থেকে বের করে এনে ভেঙেচুরে তছনছ করে দেয়।

এই কেন্দ্রেই আজ, সোমবার ছিল পুননির্বাচন। কিন্তু গত দু’দিনের পুলিশি অভিযানে গ্রাম ছাড়া ছিলেন প্রায় সকল বিরোধীরা। অধিকাংশ গ্রামবাসীদের বাড়িতে ছিল তালাবন্ধ। বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার জানান,’ এই পুননির্বাচনের কোনও মানে নেই। কারণ দলদাস পুলিশ আগেই গ্রা্ম ফাঁকা করতে দিয়েছে’।