জলপটি
তমাল সাহা

সূর্য বুঝেই উঠতে পারছে না কি করে তার শরীরে বেড়ে গেল এত তাপপ্রবাহ!
ব্যস্ত হয়ে পড়েছে সে, এটার নিরাময় কিভাবে সম্ভব?
মেঘেদের আকাশ বাড়িতে গিয়ে দেখে, মেঘেরা নেই।

বাতাস বলে, মেঘ! সে তো কবেই নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছে।
সূর্য বলে, কিভাবে তবে হবে আমার এই খরতাপের নিরাময়?

বাতাস বলে, তুমি যাও বৃক্ষদের কাছে।
গিয়ে দেখে বৃক্ষেরা সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে।
তারা বলে বৃষ্টি একমাত্র দিতে পারে শুশ্রূষার ছোঁয়া।
তবে বৃষ্টির কবে থেকেই তো গভীর অসুখ, সংজ্ঞাহীন সে, বিছানায় শোওয়া।

এবার তাহলে মাটির কাছে যাও।
গিয়ে দেখে মাটি ফুটিফাটা, জলাশয় সব বোজানো। অগণন বৃক্ষের শরীর খণ্ড খণ্ড লাশ হয়ে মাটিতে ছড়ানো।

জলাশয় শুকিয়ে কাঠ।
তবে সে কিভাবে বাষ্প বানাবে, আর বাষ্পই বা কিভাবে বানাবে জলীয় মেঘ?
মাটি বলে,
তাই তোমার দেহের উত্তাপ গেছে বেড়ে
বৃষ্টিও অসহায় নিরুপায়, অসুখে রয়েছে পড়ে!

জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে আমার গা তবে কে জলপটি দেবে আমার কপালে!
আমি বৃষ্টিকে ভালবাসি
আমি বৃষ্টিকে চাই,
উত্তেজিত সূর্য আরো রুদ্র হয়ে ওঠে।
তাহলে আমি নেব এর প্রতিশোধ
দাহযজ্ঞে রেখেছি হাত,
কে করে রুদ্রতেজের গতিরোধ!