ভোটে তোদের ভাগে শূন্য কেন?
তমাল সাহা

আসল বাস্তব বিষয়টা হলো একটা পেট,
মাথা গুঁজে কোনোমতে বেঁচে থাকা—
বামেরা বুঝছেই না এ কথা।
বামেরা মতাদর্শে খণ্ড বিখণ্ড এক লাখ।
জন-রাজনৈতিক সংগঠন তেমন পর্যায়ে নেই চেতনায় মানুষকে মাতাক।

ওইসব ফ্যাসিবাদ স্বৈরতন্ত্র ফৈরতন্ত্র বোঝেনা সাধারণ নিরক্ষর মানুষ,
বোঝে কিছু পড়ুয়া লোক।
পড়ে পড়েই তারা মহাপণ্ডিত হোক।
এইসব তত্ত্বকথা বোঝে কি বাকি সব মানুষ?
তাদের মাথার উপর দিয়ে উড়ে চলে যায়
জ্বলন্ত ফানুস।
অনেক বড় কথা প্রগতি উন্নয়ন
সাধারণ মানুষ চায় শুধু ভাত আর লবণ।

এখনো কি খোলেনি তাদের মাথার খুলি?
ছেড়ে দে ওসব তত্ত্ববোঝাই বিপ্লবী বুলি।
অন্ন নেই, চালচুলো নেই
মানুষ চায় শুধু শ্রী-নামে ডোল আর ভাতা।
এটা বুঝে গিয়েছে আসল ভোটবাজ নেতা।

ভোট চাই,ধর্মীয় জিগির তোলো
একবেলা হিজাব পরো
অন্যবেলা দুর্গা-ছটে দাও অনুদান।
ক্লাবে ক্লাবে টাকা দাও, বানাও মস্তান।
এরাই মাতব্বর, ভোট ম্যানেজার
বিধানসভা তো চোর দাগিদের বাজার।

তারুণ্যে ঘুন ধরে গেছে, শিরদাঁড়া ভেঙে
ভিড়ে গেছে ভোটবাজির দলে।
সারাদিন খেটে এক প্যাকেট বিরিয়ানি
রাতে চাটের খরচ, দুবোতল মাল তো মেলে!
এই তো বেশ আছি,দিনরাত কেটে যায়
নেতা পাশে আছে—
কয়লা-বালি খাদান, পুকূর ভরাট, কাটমানি
অফুরন্ত সুযোগ তোলাবাজির রাস্তায়।

তারা ভাবে, এটা কি এমন বিষয়
সংসদীয় গণতন্ত্রে একটু আধটু দুর্নীতি হয়।
এটাই মেনে নিতে হবে
সুযোগ পেলেই নেতারা টাকা কামাবে।
এমনকি কোভিডের চালডাল,
আমফানের ত্রিপল বেচে দেবে,
তবুও তো আমাদের দিকে কিছু ছুড়ে দেবে!
তাতেই পেটের দানাপানি কিছুটা মিটে যাবে।

জীবনকে তারা করে নেয় সহজ সরল।
পেট,কোনোমতে বেঁচে থাকাটাই সম্বল।
এই হলো ভোটে জেতার মূলনীতি।
বাস্তব বোঝোনা কিছুই,
তুমি হয়েছে বামনেতা,ঘোড়ার ডিম, না হাতি!

এদিকে রাষ্ট্রদ্রোহে গোপনে রাইফেল কাঁধে
কত বিপ্লবী নেতা ঘুরে বেড়ায়
অরণ্যে বসে অন্ধকারে ভাত খায়।
কত আদিবাসী চলে যায়
শুকনো ডালপালা চাপিয়ে মাথায়।
জনতা জাগে না,
বিপ্লব শব্দটি গর্ভে কাতরায়।

আবার মানুষ এও ভাবে
গেরুয়া এলেই বিধর্মী আমরা
আমাদের নাগরিকত্ব যায়।
এইসব সোজাসাপ্টা কথায়
ভোটের বাক্স ভরে যায়।

তারুণ্য জানে শিল্প চাকরি আর হবেনা,
যা পাচ্ছি তা নিয়েই থাকাই এখন ভালো।
আবার ভাবা যাবে তখন
যখন বিপ্লব হবে জমকালো।

করোনা কালের এই ক্ষিপ্ত দ্বিপ্রহরে
আহাম্মক এক অক্ষরজীবী
এইসব ছাইপাশ লিখে সময় নষ্ট করে!