অবতক খবর: কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্য়ায় রাজ্য রাজনীতিতে এক বর্ণময় চরিত্র। গত পঞ্চায়েত ভোটের সময় তিনিই ছিলেন তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূলের জেলা সভাপতি। এবার ভোটে শোভন নিস্ক্রিয়, নীরব দর্শক। তেইশের পঞ্চায়েত ভোটে ২০টি জেলা পরিষদই বিরোধী শূন্য় , যা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন শোভন চট্টোপাধ্য়ায়।

বিরোধী শূন্য় প্রসঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্য়ায় বললেন, ‘বিরোধীশূন্য হওয়াটা শাসককে অসুবিধেই করে। জানালা, দরজা হল বিরোধীরা। সেই সুযোগটা চলে যাচ্ছে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সেটা সুখকর নয়।’ তিনি বললেন, এই সন্ত্রাস কাম্য় নয়। তা সংশোধনের প্রস্তুতি নিলে এমনটা হতো না।

পঞ্চায়েতে ভোটে সন্ত্রাসের জন্য় বারবার রাজ্য় সরকার ও রাজ্য় নির্বাচন কমিশনের দিকে অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা। এই প্রসঙ্গে শোভন বলেন, ‘তাড়াতাড়ি ভোট ঘোষণা হয়ে গেল। সময় পেল না দলগুলো। শান্তিরক্ষায় খামতি আছে কমিশনের। তাকে বুঝতে হবে, সরকারের হয়ে কথা বলতে গিয়ে, সরকারকেই কালি লাগিয়ে দিচ্ছি কি না! সরকারি দলকে ফেবার করতে গিয়ে, দলকে অস্বস্তিতে ফেলছি কি না!’

রাজনীতির অভিঘাতে শোভন চট্টোপাধ্য়ায় আজ নিজেকে কৌশলে গুটিয়ে রেখেছেন। একুশের বিধানসভা ভোটের আগে শোভনের বিজেপিতে যোগদান, এর কিছু আগে বৈশাখী বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে ঘিরে শোভনের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্য়ায়ের মন কষাকষি এখন আদালতের বিচারাধীন বিষয়। মাঝে কিছুদিন গেরুয়া শিবিরে থেকে ভাইফোঁটায় মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের বাড়িতে যাওয়া শোভনকে ঘিরে বঙ্গ রাজনীতিতে হইচই পরে যায়। তৃণমূলে ফেরার জল্পনার মাঝে দলহীন শোভন চট্টোপাধ্য়ায়ের এদিনের মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।