অবতক খবর,২৭ জুনঃ নৈহাটি বিধানসভার অন্তর্গত জেঠিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের অনেকেই আশা করেছিলেন যে তারা টিকিট পাবেন। কিন্তু সেই আশা আশাই রয়ে গেল। যারা লড়াই দিল, যারা দলের জন্য খাটলো, যারা এই পঞ্চায়েতে সক্রিয় ছিল এবং মানুষও আশা করেছিলেন যে এরাই টিকিট পাবেন,সকলের সব আশাতেই জল ঢেলে দেওয়া হল। এই সক্রিয় নেতৃত্বদের বীজপুরের নেতৃত্বদের সঙ্গেও খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। পঞ্চায়েতের নেতৃত্বরা আশা করেছিলেন বীজপুরের নেতৃত্বরা তাদের হয়তো টিকিটও পাইয়ে দেবেন। কিন্তু অবশেষে দেখা গেল তা হলো না। তবে এই টিকিট না পাওয়ার কারণ তারা এখন খুঁজে বেড়াচ্ছেন। তবু এই প্রশ্ন তারা কারোর কাছেই করতে পারছেন না। উল্টোদিকে নেতৃত্ব দাও তাদের কোনো কারণ দর্শাতে পারছেন না।

এক বর্ষিয়ান নেতা এ নিয়ে বললেন, যারা টিকিট পেয়েছেন জয়ী হলে অবশ্যই তারা ভালো কাজ করবেন।

তিনি এমন বলার পরেই বললেন, কয়েকজনের প্রতি তাদের যেমন আস্থা রয়েছে, অপরপক্ষে এমন বিশেষ কয়েকজন রয়েছেন যারা টিকিট পাওয়ায় তিনি অখুশি। কারণ তারা পাঁচিল টোপকে এসেছে। অর্থাৎ অন্য দল থেকে এই দলে এসে টিকিট পেয়েছেন।

এখন এই নেতা প্রশ্ন তুলেছেন, দলের দুর্দিনে কি এই পাঁচিল টপকানো প্রার্থীরা দলের পাশে থাকবে?

এ বর্ষীয়ান নেতা আরো বললেন যে, আমাদের না হয় বয়স হয়ে গেছে তাই আমরা টিকিট পাইনি। তবে টিকিট পায়নি বলে এখন আমরা মুখ খুলছি, বিষয়টি তা নয়। সংগঠনকে ধরে রাখতে দলকে ভালবাসতে হয়। কিন্তু এখন আর সেই ব্যাপারটা নেই। দলের দুর্দিনে মন্ত্রীও ফোন বন্ধ করে রেখেছিলেন। কিন্তু আমরা সাধারণ কর্মীরা মার খেয়েও ময়দানে ছিলাম। জেলা নেতৃত্বরাও সরে গিয়েছিলেন সেই সময়, কিন্তু আমরা সরিনি। কারণ আমরা দলের সিম্বল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভালোবাসি। এখন দেখার বিষয় এই যে এরা দলের দুর্দিনে থাকবে কিনা!

এবার চলে আসি এক তৃণমূল নেত্রীর কথায়। টিকিট পাওয়ার জন্য তিনি আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। তিনিও দলের জন্য, মানুষের জন্য অনেক পরিশ্রম করেছেন কিন্তু অবশেষে তিনিও পেলেন না টিকিট। তাঁর বক্তব্য,সময় কথা বলবে।

এখন দেখার বিষয় এই যে, এই টিকিট না পাওয়া বিক্ষুব্ধ কর্মী যারা রয়েছেন তারা আগামী দিনে কি করবেন!

অন্যদিকে বর্তমানে যারা টিকিট পেয়েছেন দলের দুর্দিনে তারাই বা কি করবেন!

সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে এই টিকিট না পাওয়া বিক্ষুব্ধ পোড়খাওয়া তৃণমূল নেতারা।