অবতক খবর: মঙ্গলবার নদিয়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে এসে সরাসরি কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একশো দিনের টাকা না ছাড়া নিয়ে সরব হন তিনি। সাধারণ মানুষের উদ্দেশে বার্তাও দিতে গিয়ে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর গ্রামবাংলার মানুষকে নিয়ে নয়াদিল্লি অভিযান করার কথাও জানিয়ে দিলেন। আর এভাবেই দিল্লির বুক থেকে টাকা ছিনিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ।

নয়াদিল্লি অভিযানের আগে মানুষের কাছ থেকে সম্মতি আদায় প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সভামঞ্চ থেকে বলেন, ‘একশো দিনের কাজের টাকা আদায় করতে কোন পথে হাঁটা উচিত? প্রথমে ভালভাবে বলব বাংলার টাকা ছেড়ে দিন। দ্বিতীয় পথ হল পা ধরা। আর তৃতীয় পথ হল— দিল্লি চলো অভিযান। আপনারা বলুন কোন পথে হাঁটব? পায়ে ধরো না দিল্লি চলো। ভালভাবে বলা হয়ে গিয়েছে। অনেকবার ভালভাবে বলেছি। কিন্তু লাভ হয়নি। তাই আপনাদের কাছে আজ জানতে চাইছি, কোন পথে আমরা হাঁটব?’ সমস্বরে চিৎকার করে মানুষ জবাব দিলেন, ‘দিল্লি চলো অভিযান’। প্রত্যুত্তরে অভিষেক বললেন, ‘তাই হবে। তবে তার জন্য পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত শক্ত করতে হবে।’

তাহলে কবে দিল্লি চলো অভিযান হবে? মানুষের এই প্রশ্নের উত্তর জানতে যে কৌতূহল হচ্ছে সেটা বুঝতে পারেন অভিষেক। তাই তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পরই দিল্লি চলো অভিযান হবে। আর সেখান থেকে টাকা ছিনিয়ে আনার দায়িত্ব আমার। আপনাদের নিয়ে যাওয়া, আন্দোলনে বসা এবং টাকা পাইয়ে দেওয়া আমার কাজ। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের হাত শক্ত করলেই সেটা সম্ভব। আর তখন দেখবেন পদ্মফুল থাকবে গোয়ালঘরে, তৃণমূল থাকবে মানুষের ঘরে ঘরে। মাথা উঁচু করে লড়াই করুন। আমি ছিলাম, আছি, থাকব।’

সভামঞ্চে দাঁড়িয়েই সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। তাঁর কথায়, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদীজি আপনাকে করজোড়ে বলছি বাংলার টাকাটা ছেড়ে দিন। আমি আপনার থেকে অনেক ছোট। কিন্তু অপনি যদি মনে করে থাকেন তৃণমূল কংগ্রেস আপনার কাছে বশ্যতা স্বীকার করবে তাহলে শুনে রাখুন, আপনার থেকে আমার জেদ অনেক বেশি। দু’মাসে প্রমাণ হয়ে যাবে কার জেদ বেশি। দিল্লি থেকে আমি টাকা ছিনিয়ে আনবই। দিল্লির বহিরাগতদের কাছে মাথা নীচু করব না। এই রাজ্যে তিনটি দল আছে। তিনটিই আপদ বিপদ। আর তৃণমূল নিরাপদ। দিল্লি চলোর লড়াই এগিয়ে নিয়ে যেতে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ২০১৯ সালে নির্বাচনে জিতে বিজেপি একশো দিনের টাকা বন্ধ করেছে। এবার যদি কোনও পঞ্চায়েতে যেতে তাহলে পরিষেবা পাবেন না।’