অবতক খবর,২৬ জুনঃ তিনমাস! এই কথা এখন সকলের মুখে মুখে। অর্থাৎ আমরা বলতে চাইছি ছোট হোক কিংবা বড় সকল নেতাকর্মীর মুখে মুখেই “তিন মাস” এই কথাটি। কিন্তু কেন? এই শব্দ দুটি বারবার উঠে আসছে তাদের মুখে? আবার কি কোন পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে? নাকি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হতে চলেছে? নাকি বসে যাওয়া নেতারা আবার তাদের ক্ষমতা ফিরে পাবেন? নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোন রহস্য?

শব্দ দুটি শুনেই মনে হচ্ছে যেন একটি বড়সড় রাজনৈতিক উত্থান পতন হতে চলেছে তৃণমূলে। দেখা যাচ্ছে,বীজপুরেও এই ‘তিন মাস’ নেতাকর্মী কাউন্সিলরদের চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। তবে এই তিন মাসে কি হবে সেটা আর কেউ বলছেন না। দেখা যাচ্ছে, বীজপুরের নেতারাও বেশ শান্ত হয়ে রয়েছেন। কিছুদিন আগেও যে সকল নেতাদের বেশ সক্রিয় দেখা যাচ্ছিল তারাও তিনমাসের জন্য নীরব হয়ে বসে পড়েছেন। যেন তিন মাসে কিছু হতে চলেছে। কর্মীরাও অনেকেই বসে গেছেন।

আগামী ৮ই জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তারপর ফলাফল। এইসব নিয়েই শেষ হবে জুলাই মাস। আগস্টে আসবে স্বাধীনতা দিবস,রাখী বন্ধন। এইভাবে কেটে যাবে আগস্ট মাসও। তারপর আসবে সেপ্টেম্বর। তাহলে ধরে নেওয়া যেতেই পারে পুজোর আগেই বড়সড়ো কিছু ঘটতে চলেছে।

কিছুদিন আগেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একের পর এক তারিখ দিচ্ছিলেন, আর তার পাল্টা তারিখ দিয়েছিল তৃণমূলও। কিন্তু এখন তারিখ দিচ্ছেন সাধারণ কর্মী থেকে শুরু করে কাউন্সিলররা। তারিখ তো সবাই দিয়ে দিচ্ছে,কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে কিছুই ঘটছে না।

এই প্রসঙ্গে কয়েকজন কাউন্সিলরের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা বলেন, এখন আমরা চুপচাপ বসে রয়েছি রঞ্জন! পুজোর আগেই আবার খেলা শুরু হবে। কিন্তু কি খেলা? তাদের কাছে আমরা এই প্রশ্ন করি। উত্তরে তারা বলেন,”আগে আগে দেখো,হোতা হ্যায় ক্যায়া!”

এক পন্থী দেখা যাচ্ছে ধীরে ধীরে তারা তাদের সমস্ত প্রপার্টি বিক্রি করতে শুরু করেছেন। এই প্রপার্টি বিক্রির দায়িত্ব যাকে দেওয়া হয়েছে সে আমাদের বলছে যে,’আগামী তিন মাসের মধ্যে যে করেই হোক এই প্রপার্টি গুলি আমাকে বিক্রি করতেই হবে। কারণ ‘দাদা’ বলেছে প্রপারটি সব বিক্রি করে দিতে হবে।’

আবার আরো এক পন্থী বলছেন,যা কামানোর এই তিন মাসের মধ্যে কামিয়ে নিতে হবে। কারণ ‘সে’ এখন প্রমোটারির মধ্যেও নাক গলাচ্ছে এবং ব্যবসাদারদের মধ্যেও নাক গলাচ্ছে। কারণ সে’ও বলছে এতদিন বসেছিলাম এবার সুযোগ পেয়েছি এই সুযোগ আর হাতছাড়া করা যাবে না।

বীজপুরের আর এক পন্থী এখন পুরোপুরি চুপচাপ হয়ে গেছে।তারা বলছেন,আমাদের কি! আমরা চুপচাপ খেলা দেখি আমাদের লেনাও নেই দেনাও নেই। আমরা শুধু খেলা দেখব। আমার যা ব্যবসা করার করা হয়ে গেছে এখন আমার আর কোন চিন্তা নেই।

সাধারণ কর্মীরাও বলছেন যা খেলা দেখার এই তিন মাসের মধ্যেই দেখব।

বীজপুরের এক পন্থী বলছে, সাংসদ অর্জুনকে ডেকেই পুজোর উদ্বোধন করিয়ে দিই।দেখা যাক না কি হয়! ফের তিনি বলছেন যে,নাহ! পুজোতে রাজনীতি ঢোকাবো না। পঞ্চায়েত শেষ হোক, পুজোর আগে তো এমনিই খেলা শুরু হয়ে যাবে। তখনই দেখে নেবো।

তবে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এক পন্থী যে কিনা দীর্ঘ বছর ধরে বীজপুর থেকে আউট, সে আবার নতুন করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংগঠন তৈরি করতে শুরু করে দিয়েছে। কাঁচরাপাড়া হালিশহরের বেশ কিছু মানুষ তার সাথে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ রাখছেন। এই যে যিনি বাইরে থেকে হোয়াটসঅ্যাপে সংগঠন তৈরি করছেন তিনি আবার কোন দিকে যাবেন,কবে যে খেলতে নেমে যাবেন, পুজোর আগে সেটা দেখা যাবে।

আর এক পন্থী পুজোকেই হাতিয়ার বানাচ্ছে। তিনি বলছেন আমরা পুজো করব। আগে লোকদের আনি, তারপর আমিও খেলতে নামব।

তবে এই যে সকল পন্থীরা, তারা যখন একসাথে খেলতে নামবে তখন যে কি হবে তা পুজোর আগেই পরিষ্কার হবে। আর এটাই এখন বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের মূল আলোচ্য বিষয়।