অবতক খবর,২৬ জুনঃ গতকাল এক বড়সড় গন্ডগোল থেকে বাঁচলো কাঁপা সংলগ্ন অঞ্চল। ২৫ জুন ছিল সিপিএম প্রার্থীদের নিয়ে একটি মিছিল। মিছিলটি সংঘটিত হয় কাঁপা মোড় থেকে চৌগাছা মোড় পর্যন্ত। মিছিলের নেতৃত্বে যারা ছিলেন তারা জানিয়েছিলেন যে, তাদের কাছে এই মিছিলের অনুমতি রয়েছে।

অন্যদিকে দেখা যায়,পলাশি-মাঝিপাড়া অঞ্চলে তৃণমূলের একটি সভা ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, জেলা সভাপতি তাপস রায় সহ বীজপুরের একাধিক নেতৃত্বরা।

এদিকে সিপিআইএমের মিছিলে উপস্থিত ছিলেন নেতা সুজন চক্রবর্তী, সিটু নেত্রী গার্গী চ্যাটার্জী সহ একাধিক উচ্চ নেতৃত্বরা।

দুই দিকেই ছিল পাল্লা ভারী। তৃণমূলের সভায় যোগদান করার জন্য কাঁচরাপাড়া থেকে বাস ভর্তি করে কর্মীরা যায়। সিপিআইএমের মিছিলের জন্য অনেক বাস আটকে যায়।

সেই সময় বাস থেকে নেমে কাছে করার কিছু নেতারা তাদের ভয় দেখিয়ে বাসগুলি বের করে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু দেখা যায় এক ভিন্ন চিত্র। ওই নেতারা প্রথমে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। এরপর তারা যখন সিপিএমের নেতাদের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন তখনই সিপিআইএমের ওই মিছিলের ভিড় থেকে তাদের উদ্দেশ্যে চোর স্লোগান উঠে আসে। তেড়িয়ে আসেন কাঁচরাপাড়ার দু’তিনজন নেতা। অবশেষে পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সিপিআইএমের নেতাকর্মীরা না থেমে উল্টে আরো জোরে চোর স্লোগান দিতে থাকে।

পরবর্তীতে পুলিশ প্রশাসন দুই পক্ষকে শান্ত করে বাসগুলিকে বেরিয়ে যাওয়ার রাস্তা করে দেয়।

অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে গতকাল একটি গন্ডগোলের আশঙ্কা ছিল‌ কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় সেই গন্ডগোল আর হয়নি।

সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী অভিযোগ তোলেন যে,তাদের কাছে মিছিলের অনুমতি ছিল।‌ কিন্তু একই দিনে পুলিশ প্রশাসন কিভাবে অন্য আরেকটি দলের সভা করার অনুমতি দিল!