অবতক খবর: আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল সহপাঁচটা ম্যাচ পেয়েছে ইডেন গার্ডেন। যার আয়োজনে প্রবল ভাবে নেমে পড়েছে সিএবি। নতুন করে স্টেডিয়াম সাজিয়ে তোলার কাজ বহু দিন আগে থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে। এবং বিশ্বকাপের পরেই যে ইডেনের দর্শকাসন এক লক্ষ করে ফেলা হবে, তা বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিলেন প্রাক্তন ভারতীয় বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।

সিএবি তাঁকে বিশ্বকাপ কমিটিতে রাখার কথা ভাবছে। কিন্তু ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়ক জানেন না, কতটা সময় বের করতে পারবেন তিনি। বলছিলেন, ‘‘আমি কতটা সময় দিতে পারব, জানি না। কিন্তু সব রকম ভাবে সাহায্য করব সিএবিকে।’’ ঘরের মাঠে আসন্ন ক্রিকেট বিশ্বকাপের প্রসঙ্গও ওঠে। সৌরভকে জিজ্ঞাসা করা হয়, রোহিত শর্মার ভারতের কতটা সম্ভাবনা তিনি দেখছেন? উত্তরে তিনি বলে দেন, ‘‘দেখুন, বিশ্বজয়ের সুযোগ ভারতের সামনে সব সময়ই আছে, থাকবে। কারণ টিমটায় প্রতিভার কোনও অভাব নেই। আর শেষ তিনটে বিশ্বকাপ যদি দেখেন, তা হলে দেখবেন যে ঘরের টিমই বিশ্বকাপ জিতেছে। ২০১১ সালে ভারত। ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া। ২০১৯ সালে ইংল্যান্ড। প্রত্যেকটা হোম টিমই কিন্তু বিশ্বকাপ জিতেছিল গত তিন বার। আশা করব, এবারও তাই হবে। এবার ভারতে যখন খেলা, তখন আশা করছি ভারতই চ্যাম্পিয়ন হবে।’’ আর আসন্ন বিশ্বকাপে যে সবার ফর্মই যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হবে, সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন সৌরভ। বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপ কখনও একজন বা দু’জনের ফর্মের উপর ভিত্তি করে জেতা যায় না। সবার ফর্মই গুরুত্বপূর্ণ সেখানে। সবাইকে ভাল খেলতে হবে।’’

আগামী ১২ জুলাই থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শুরু হয়ে যাবে ভারতের। যেখানে বেশ কয়েক জন নতুন মুখকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। বাংলার পেসার মুকেশ কুমার তো তিনটে ফর্ম্যাটেই রয়েছেন। সৌরভ চান, ভারতীয় টিম যাতে তরুণদের পর্যাপ্ত সুযোগ দেয়। বলেছেন, ‘‘টিমে নিয়ে ওদের বসিয়ে রাখা উচিত নয়। খেলানো উচিত। আশা করব, ওদের সুযোগ দেওয়া হবে।’’ আর মুকেশ? তাঁকে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে দেখছেন? এবার উত্তরে সৌরভ বলেন, ‘‘কেন নয়? নইলে তিনটে ফর্ম্যাটে ওকে নেবে কেন? বুমরাহর কী অবস্থা আমরা জানি না। মুকেশ সুযোগ পেতেই পারে।’’

আগামীকাল একান্ন বছরে পা দিচ্ছেন সৌরভ। তার আগে এ দিন নিজের অফিসে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলে দেন, ‘‘ইডেন বিশ্বকাপের পাঁচটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ পেয়েছে বলে আমরা সবাই খুশি। আমি এটা আশাই করেছিলাম। ভারতীয় বোর্ডকে ধন্যবাদ ইডেনকে এত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ দেওয়ার জন্য। ২০১৬ সালে আমি যখন সিএবি প্রেসিডেন্ট ছিলাম, তখন ইডেনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল হয়েছিল। আবার পরে যখন আমি বোর্ড প্রেসিডেন্ট হই, তখন আর একটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল কলকাতায় হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু পরে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে টুর্নামেন্ট দেশের বাইরে চলে যায়।’’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘আসলে স্টেডিয়ামের দর্শকাসন এসব ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়। সেটাও একটা কারণ। ইডেনের ক্যাপাসিটি সেখানে এত বিশাল। এত ভাল মাঠ, এত ভাল উইকেট। প্রায় প্রতিবারই ইডেন সেরা মাঠের পুরস্কার পায়। আর আমরা ঠিক করে ফেলেছি যে, বিশ্বকাপের পরই ইডেনের দর্শকাসন এক লক্ষ করে ফেলা হবে। সেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।’’ প্রসঙ্গত, ইডেনের এই মুহূর্তে দর্শকাসন সাতষট্টি হাজার মতো।