অবতক খবর: বাহিনী জট কাটেনি পঞ্চায়েত ভোটের ২৪ ঘণ্টা আগেও। এরই মাঝে গতরাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার সঙ্গে আলোচনা করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোঅর্ডিনেটর (বিএসএফ) আইজি। জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাতের বৈঠকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, কোনও বুথে যেন অন্ততপক্ষে ‘আধা সেকশন’ জওয়ান মোতায়েন করা হয়। তার কম জওয়ান যেন না মোতায়নের করে কমিশন। উল্লেখ্য, হাফ সেকশনে পাঁচজন জওয়ান থাকেন। তার মধ্যে চারজনকে মোতায়েন করা যায়।

রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে বিএসএফ আইজি জানান, কোনও ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যদি তিন বা চারটি বুথ থাকে, সেই ক্ষেত্রে যেন পুরো এক সেকশন বাহিনীই মোতায়েন করা হয়। এদিকে কোনও ভোটকেন্দ্রে পাঁচ বা ছ’টি বুথ থাকে, তাহলে যেন কমপক্ষে দেড় সেকশন বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এছাড়া সাতটি বা তার বেশি বুথ থাকলে সেই ভোটকেন্দ্রে যেন কমপক্ষে দু’সেকশন বাহিনী মোতায়েন করা হয়।

আরও একটি প্রস্তাব রেখেছেন বিএসএফ আইজি। তিনি বলেন যাতে স্ট্রংরুমে পুরো ১ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এই এক কোম্পানি বাহিনীর মধ্যে ৮০ জনকে মোতায়েন করা যাবে। এই প্রস্তাবের ফলে পঞ্চায়েত ভোটের একদিন আগে ফের জটিলতা তৈরি হয়েছে। রাজ্যের কোনও বুথে একা কোনও জওয়ানকে মোতায়েন করতে চাইছে না বাহিনী। এই আবহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোঅর্ডিনেটর। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যে জওয়ানরাও নিরাপদ নন। তাই কোনও বুথে যদি জওয়ানকে একা মোতায়েন করা হয়, তাহলে তাঁর প্রাণনাশের আশঙ্কা থাকতে পারে।

প্রসঙ্গত, আগামিকালই রাজ্যে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তবে এখনও কাটেনি বাহিনী জট। রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল পর্যন্ত ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছয়নি রাজ্যে। পঞ্জাব, তামিলনাড়ু, কেরল, রাজস্থান সহ দূর দূরান্তের বহু রাজ্য থেকে বাহিনী রওনা তো দিয়েছে। তবে শনিবার ভোটের আগে ঠিক সময়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাহিনী মোতায়েন করা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।

উল্লেখ্য, বুথ পিছু ‘হাফ সেকশন’ বা ৪ জন করে জওয়ানকে যদি মোতায়েন করতে হয়, তাহলে রাজ্যের সব বুথের জন্য প্রয়োজন পড়বে প্রায় ২ লক্ষ ৪৫ হাজার জওয়ান। যদিও ভোটের ডিউটিতে মোতায়েন করা যাবে মাত্র ৬৫ হাজার জওয়ান। এই আবহে এক একটি বুথে একজন করে জওয়ান মোতায়েন করতে হবে। তবে তা করতে চাইছেন না বাহিনীর কোঅর্ডিনেটর।