অবতক খবর,১ সেপ্টেম্বর,বালুরঘাট: আন্তর্জাতিক আমদানি রফতানি বানিজ্য কেন্দ্র হলেও হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে আসেনা বাংলাদেশের সুস্বাদু ইলিশ।

পরিকাঠামোগত সমস্যা বলেই দাবি। কেন্দ্র সরকারের সদর্থক ভূমিকা না থাকার কারণে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মানুষ বঞ্চিত বলেই অভিযোগ।

সুস্বাদু বাংলার ইলিশ খেতে ভরসা বেনাপোল বর্ডারই। চরম চাহিদায় অবশেষে হিলি চেকপোস্ট দিয়ে ইলিশ আমদানি করবার দাবি তুলেছেন জেলার মাছ ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে মানুষজন। সঠিক দামের মাধ্যমে হিলি দিয়ে পর্যাপ্ত ইলিশ আমদানিতে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের সদর্থক ভূমিকার দাবি সকলের।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তিনদিকে ঘেরা ২৫২ কিলোমিটার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত। জেলার মধ্যে হিলি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা আমদানী ও রফতানি ব্যবসার ক্ষেত্রে। হিলি এই চেকপোস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক পণ্য ব্যবসার পাশাপাশি চলে দুই দেশের মানুষের যোগাযোগ। সেখানে থাকা ইমিগ্রেশান চেক পোস্টের মাধ্যমে একদেশের মানুষ বৈধভাবে অন্যদেশে যাতায়াত করে থাকে।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ভারত থেকে লড়ি বোঝাই পেয়াজ, রসুন, লঙ্কা, ফলমূল, মাছ এবং অন্যান্য কাঁচামালের পাশাপাশি চিনি, জিরা, ডাল, পোশাক, সহ বহু সামগ্রী যায় বাংলাদেশে। আবার বাংলাদেশ থেকে চিটা গুড় ও সামান্য কিছু সামগ্রী এদেশে আমদানী করা হয়ে থাকে। এলাকার এই বাণিজ্য থেকেই ভারত সরকারের শুল্ক আদায় হয় মাসে প্রায় ২০ কোটি টাকার বেশি। তবে হিলি বর্ডার দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ আমদানির প্রচেষ্টা চালিয়েও লাভ হয়নি স্থানীয় এক্সপোর্ট- ইমপোর্টাদের। কেননা এপার হিলির স্থলবন্দরের পাশে মাছ পরীক্ষার লাব্রোটারি প্রয়োজন।

ফাইটোস্যানেটারি নামে মাছ পরীক্ষার ওই বিশেষ ল্যাবরেটরি কেন্দ্র সরকারকে গড়ে তুলতে হয়। সেই সঙ্গে ইলিশ আমদানীকারিদের অনুমতি দিতে হয়। কিন্তু সেই ব্যাপারে ভূমিকা নেই সরকারের।
কেন্দ্রীয় সরকার সে ব্যাপারে শিলমোহর দেয়নি ওই বন্দরের ক্ষেত্রে। স্বাভাবিকভাবেই অনেকটা দূর উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বেনাপোল বর্ডার দিয়ে আমদানি হওয়া ইলিশ মাছ আনতে অধিক ব্যয় হয় দক্ষিণ দিনাজপুরের মৎস্য ব্যবসায়ীদের। ফলে লাভ রেখে ওই মাছ লোকাল বাজারে ছাড়তে হয় তুলনামূলক চড়াদামে। বহু মানুষের সাধ্যের বাইরে চলে যায় বাংলাদেশের ইলিশ।