অবতক খবর,১৪ নভেম্বর: আজ যখন গোটা দেশ দীপাবলি উৎসবে মেতে উঠেছে,তখন অনেকেই ভুলে গেছেন যে ১৪ই নভেম্বর, ভারতবর্ষের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর জন্মদিন এবং শিশু দিবস। অন্যান্য বছর বীজপুরের বিভিন্ন জায়গায় পালন করা হয় এই শিশু দিবস। কিন্তু এইবছর পরিস্থিতি একেবারেই অন্যরকম। একে তো করোনাকাল, অন্যদিকে শিশু দিবসের দিনেই দীপাবলি।‌ফলে এই উৎসবের দিনে শিশু দিবস প্রায় ভুলেই গেছে বীজপুর। কিন্তু এই বীজপুরের বুকেই সাড়ম্বরে পালিত হল শিশু দিবস। অন্যান্য সকলে এই দিবস ভুলে গেলেও ভোলেননি বীজপুরের তৃণমূল যুব নেতা রাজু বিশ্বাস।

দীপাবলি উপলক্ষে অনেকেই দুঃস্থদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করেছেন। কিন্তু ছোট ছোট শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে উদ্যোগী হয়নি কেউই। সেই জায়গায় হালিশহর ৩ নং ওয়ার্ডের যুব নেতা রাজু বিশ্বাস সকাল থেকেই মেতে ওঠেন শিশুদের জন্য বিভিন্ন ধরনের বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান আয়োজন করতে। অাঁকা প্রতিযোগিতা থেকে শুরু করে নাচ, গান, আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সবই আয়োজন করেছেন তিনি শিশুদের জন্য। এছাড়াও ছিল আইসক্রিম,ফুচকা ও বিভিন্ন চকলেট যা শিশুরা অত্যন্ত পছন্দ করে। তবে শুধু শিশুরাই নয়,ওই অঞ্চলের মহিলা থেকে পুরুষ সকলেই এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে উপভোগ করেন। সন্ধ্যায় এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন তৃণমূল জেলা সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকর্মী সুবোধ অধিকারী।

 

এ প্রসঙ্গে রাজু বিশ্বাস বলেন,শিশুরাই আগামীর ভবিষ্যত। তারাই গড়ে তুলবে সমাজ। তাই তাদের এই বিশেষ দিনটিকে বিশেষভাবে পালন করতেই আমাদের এই উদ্যোগ,যা আমরা প্রতিবছরই আয়োজন করে থাকি। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ছোট ছোট শিশুদের মুখে হাসি ফোটানোই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।