অবতক খবর,৫ মে: কোন তদন্ত ছাড়া প্রমাণ ছাড়া একজন সাংসদের পথ খারিজ করেছে এই স্বৈরাচারী বিজেপি। এর জবাব ১৩ই মে ইভিএম-এ দিতে হবে। যেখানে রাজ্যের রাজ্যপাল একজন নারীকে শ্লীলতাহানি করতে পারে তার মতো জঘন্য ঘটনা আর কি ঘটতে পারে।

সন্দেশখালির যে ঘটনা আজ প্রকাশ্যে উঠে এসেছে সেখানেই প্রমাণ হয়ে গেছে বিজেপি আরো কত নোংরা রাজনীতি করতে পারে। তৃণমূল কখনো নোংরা রাজনীতি করে না। রবিবার নদীয়ার কালীগঞ্জ পানিহাটা উচ্চ বিদ্যালয়ে জনসভা করতে এসে কেন্দ্রের বিজেপি ও রাজ্যের রাজ্যপাল কে এই ভাষাতেই কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও ১৩ই মে নদীয়ার কৃষ্ণনগর লোকসভা ও একই সাথে নদীয়ার রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের চতুর্থ দফার নির্বাচন, আর এই দুই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থীদের জয়ী করতে মরিয়া তৃণমূল, তাই কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের সমর্থনে এই জনসভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

যদিও করা নিরাপত্তায় মুড়ে রাখা ছিল গোটা কালীগঞ্জ। আর হাজার হাজার কর্মী সমর্থকদের সামনেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উপড়ে দিলেন অভিষেক। সভামঞ্চ থেকে বিজেপিকে হুংকার দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে মহুয়া মৈত্র কে হারানোর জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রীকে দু দু বার আসতে হলো, এছাড়াও বেশ কয়েকবার জনসভা করেছে বিজেপির হেভি ওয়েট নেতারা।

তাহলে মহুয়াকে কেন এত ভয়, এই লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায় ভোট চাইতে গেলে আপনারা প্রশ্ন করবেন। গত দশ বছরের মধ্যে বিজেপি এই কেন্দ্রের মানুষের জন্য কি করেছে, এই বিজেপির নেতারা বলেছে বিজেপি ক্ষমতায় আসলে তারা লক্ষ্মীর ভান্ডার তুলে দেবে, রাজ্য সরকার দিচ্ছে মোদীজি নিচ্ছে। তাই আগামী ১৩ই মে ইভিএমের বোতাম টিপে প্রমাণ করে দিন আর মহুয়া মৈত্র কে বিপুল ভোটে জয়ী করুন। গত পাঁচটা বছর মহুয়া মৈত্র এই কেন্দ্রে সাংসদ থাকাকালীন তার কাজের যে গতিবেগ ছিল তা আপনারা নিজেরাই জানেন। অর্থাৎ বিজেপি চাইবে যে করে হোক মহুয়া মৈত্রকে হারাতে, কিন্তু আপনারা তার জবাব দেবেন আগামী ১৩ই মে।