অবতক খবর, হাওড়াঃ হাওড়ার জোড়হাটে বিজেপি বুথ কমিটির নেতা শেখর মল্লিক খুন হয়েছেন। অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে । বিজেপির হাওরা জেলা সম্পাদক বিমল প্রসাদের দাবি, ‘দলের হয়ে গত লোকসভা এবং তার আগে পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে সক্রিয় ভূমিকা ছিল মৃত শেখর মল্লিকের । এমনকি সিএএ নিয়ে প্রচার অভিযানেও সক্রিয়তা ছিল মৃত এই কর্মীর দলের হয়ে ।’

বিজেপির সক্রিয় কর্মী হওয়াতে বিষয়টিকে ভালভাবে নেয়নি স্থানীয় শাসক শিবিরের নেতা কর্মীরা এমনই অভিযোগ বিজেপির হাওড়া জেলা সম্পাদকের। তিনি বলেছেন, শেখর মল্লিক শিবরাত্রির অনুষ্ঠান সেরে বাড়ি ফেরার পথে খুন হয়েছেন । ঘটনা জানাজানি হতে বিজেপি দলের তরফ থেকে সাকরাইল থানায় যাওয়া হয় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার জন্য।

এরপরেই বিজেপির হাওড়া জেলা সম্পাদক বিমল প্রসাদ বিস্ফোরক অভিযোগ এনে বলেছেন, ‘ওসি সাকরাইল মধুসূদন মুখার্জি লিখিত অভিযোগ দায়ের করার আগে এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার আগেই সিদ্ধান্তে পৌঁছে গিয়েছেন শেখর মল্লিক নামের ব্যক্তি মদ খেয়ে রাস্তায় পড়ে মারা গিয়েছেন ।’ বিজেপির হাওড়া জেলা সম্পাদক এমন অভিযোগও করেছেন, ‘ তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান মিনতি সেনাপতি সাকরাইল থানার ওসির ঘরে ঢুকে, ওসির পাশে বসে বিজেপি মন্ডল সভাপতি অলোক দুবে এবং জেলা সভাপতি সুমিত পাড়ুইকে হুমকি দিয়েছেন, সঙ্গে টিএমসির পঞ্চায়েত প্রধান মিনতি সেনাপতি ওসি সাকরাইলের ওপড়ে চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছিলেন যাতে কোনভাবেই তৃণমূলের ছেলেদের নাম খুনের অভিযোগপত্রে না আসে ।’

বিজেপি হাওড়া জেলা সম্পাদকের বক্তব্য হল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট, এফ আই আর এবং তদন্ত হওয়ার আগে কিভাবে ওসি সাকরাইল মধূসুদন মুখার্জি শাসক দলের নেতাদের পাশে বসিয়ে বলতে পারেন শেখর মল্লিকের মারা যাওয়াটা খুন নয়, দূর্ঘটনা ।

ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে ধৃত ব্যক্তি তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান মিনতি সেনাপতির ঘনিষ্ঠ ।

সব মিলিয়ে এই ঘটনা ঘিরে হাওড়া জেলা জুড়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে।