গয়েশপুর তৃণমূল টাউন সভাপতি মিন্টু দে-র নেতৃত্বে প্রকাশ্য গ্যারেজে লুটপাট, ভাঙচুর, আতঙ্কে পরিবার

অবতক খবর, সংবাদদাতা :: গয়েশপুর তৃণমূল টাউন সভাপতি মিন্টু দে-র নির্দেশে একদল যুবক গয়েশপুর চেকপোস্ট চা বাগানের কাছে একটি গ্যারেজে ব্যাপকভাবে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। প্রকাশ্য দিনের বেলা বেলা দশটা নাগাদ লুটপাট ভাঙচুর চলতে থাকে।

দোকান মালিক কৃষ্ণদাস পুলিশের কাছে অভিযোগ করলেও প্রথমে পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। পরে তারা থানায় বসে পড়লে পুলিশ লিখিত অভিযোগ নিয়ে ছেড়ে দেয়।সন্ধে পর্যন্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়নি।

অবতক খবরের কাছে যে ভিডিওটি ভাঙচুরের এসেছে সেটাতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে যে তারা দোকান মালিক কে  জানায় যে মিন্টু সঙ্গে রফার জন্য বহুবার বলা হয়েছে আর সময় দেওয়া হবে না ।তারা পরিষ্কার জানিয়ে দেয় যে যা করার আছে করে নে। ক্ষমতা থাকলে গিয়ে কেস করে নে। দোকান মালিক ও তার স্ত্রী বারেবারে তাদের কাছে কাকুতি-মিনতি করতে থাকেন কিন্তু তারা তাদের তাড়িয়ে দেয়। ভাঙচুর ও লুটপাট করতে থাকে।

গাড়ির গ্যারেজের মালিক কৃষ্ণ দাস জানান গত 59 বছর ধরে আমরা এই বাড়িতে আছি 21 বছর ধরে আমরা গ্যারেজ ও সেখানে বিদ্যুৎ কানেকশন ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করছি। কোনদিন কাউকে দেখিনি হঠাৎ গয়েশপুর টাউন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মিন্টু দে পরিষ্কার জানিয়ে দেন যে জমি খালি করে দিতে হবে কারণ তারা কিনে নিয়েছেন।

কৃষ্ণ দাস জানান আমার বাবা নামে টেক্সট খাজনা ট্রেড লাইসেন্স সবই ছিল পরে আমার নামে হয়েছে তারা বছরের পর বছর এখানে চাষ করছেন ও দোকানদারি করছেন। কৃষ্ণ দাস জানান একদিন কয়েকজন ছেলেকে নিয়ে মিন্টু দাসের মাসির ছেলে প্রবীর কুমার দাস আসে ও বলে তারা এই জমি খরিদ করে নিয়েছে খালি করে চলে যেতে হবে।

কৃষ্ণদাস আরো জানান আমরা তৃনমূল টাউন সভাপতি মিন্টুর সঙ্গে দেখা করেছিলাম তিনি বলেন 65 লক্ষ টাকা দিতে হবে নচেৎ খালি করে জায়গা চলে যেতে হবে অন্য কোন কিছুই মানবেন না। কৃষ্ণ আরো বলেন গতকাল মিন্টু নিজে এসে হুমকি দিয়ে যায় খিস্তি খামারি করে যায় বলে আগামীকালই জায়গা দখল নেবে তারা সব শরীর কাপে রাতারাতি।

আর আজ সকাল 10 টায় তারা কুড়ি-পঁচিশ জন মিলে ভাঙচুর শুরু করে দেয় তারা ছুটে এসেছিলেন ঘটনাস্থলে অনেক অনুরোধ জানিয়েছেন কিন্তু তাদের মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয় তার বউকেও শ্লীলতাহানি করা হয়।

পুলিশের কাছে কোন বিচার না পেয়ে কৃষ্ণ তার পরিবার নিয়ে অকল্যাণের কাছে গিয়েছিলেন লিখিত অভিযোগ দিয়ে এসেছেন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন জানিয়েছেন কিন্তু এখনো কিছু হয়নি তারা ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন প্রকাশ্যে যখন তান্ডব হতে পারে যেকোনো সময় তাকে গুলি করে মারা হতে পারে বলে ভয়ে আতঙ্কে রয়েছে এই পরিবার।

এলাকার কাউন্সিলর সুভাষ মুখার্জি জানান কোনো ভাংচুরের কোন অভিযোগ তিনি পাননি এ সম্পর্কে কোন নাম গন্ধই শোনেননি। তিনি বলেন আপনাদের কাছ থেকে প্রথম শুনছি। খোঁজ নিয়ে দেখব।তবে খোঁজ নিয়ে কিছু করতে পারবেন কি? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি আর কোনো উত্তর দেন নি ।

প্রাক্তন টাউন সভাপতি বাপি চক্রবর্তী বলেন যা হচ্ছে জনগণ দেখেছে, নেতারা দেখছেন। তারাই এসব সম্পর্কে উত্তর দেবেন। আমার কিছু বলার নেই। তিনি বলেন আপনারা নিজেই দেখে নেন। ভিডিও টা বুঝে নেন। আমার আর কিছু বলে কি হবে। তিনি বলেন জেলা সভাপতি কে জিজ্ঞেস করুন। আমি তো আর পদে নেই যে আমি উত্তর দিতে পারব।

জেলা সভাপতি শংকর সিং কে ফোন করে,বারে বারে তাকে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি তার উত্তরও কিছু পাওয়া যায়নি।