অবতক খবর: পঞ্চায়েত ভোটে একের পর এক গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের! গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪ হাজার ৭৬৭ আসনে জয়ী তৃণমূল। বিজেপির দখলে ৩ হাজার ৩৪৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন। সিপিএমের দখলে ১ হাজার ৮৬টি আসন, কংগ্রেস ৭৮৩টি আসন। গ্রাম পঞ্চায়েতের ১ হাজার ৪৩৮টি আসন জিতেছে অন্যান্যরা ।
এদিকে, সিপিএম প্রার্থীকে হারাতে ব্যালট খেয়ে ফেলার অভিযোগ তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, ৪ভোটে জিতছিলেন, এমনটাই দাবি হাবড়ার ভুরকুণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মজুমদারের। হঠাৎ টেবিল থেকে বেশ কয়েকটি ব্যালট নিয়ে খেয়ে ফেলেন ওই তৃণমূল প্রার্থী।

গণনা চলাকালীন ফের অশান্ত ভাঙড়। অভিযোগ, তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। ঘটনা ভাঙড়ের দক্ষিণ গাজিপুরে। তৃণমূলের পার্টি অফিসে তাণ্ডব। অভিযোগের তির আইএসএফ-জমি রক্ষা কমিটির বিরুদ্ধে। ভাঙড়ে আরাবুলের পঞ্চায়েত পোলেরহাটেই তৃণমূলের হার! পোলেরহাট ২: ধরাশায়ী তৃণমূল, ২৪টির মধ্যে মাত্র ১টিতে জয় ।রাজারহাট-বিষ্ণুপুরে ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে টসে জিতলেন তৃণমূল প্রার্থী। তৃণমূল-বিজেপির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, টসে জয় তৃণমূল প্রার্থীর।

অন্যদিকে, ভোটে হারের পরেই আতঙ্ক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের পা জড়িয়ে ধরলেন বিজেপি প্রার্থী! দিনহাটায় এই ঘটনা ঘটেছে । গণনাকে ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নদিয়ার তেহট্ট। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে তৃণমূল বিধায়ককে মারধরের অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। ভিড় হঠাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর লাঠিচার্জ করে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। পাল্টা কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর হামলার হুমকি বিধায়কের।

গণনাকেন্দ্রে ব্যালটে কালি ও জল ঢালার অভিযোগ ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনা কোচবিহারের ১ নম্বর ব্লকে। বিজেপির অভিযোগ, ১০০ ভোটের মধ্যে ৯৮টি পায় বিজেপি, ২টি ভোট পায় তৃণমূল, তারপরই ব্যালটে কালি ও জল ঢালে তৃণমূল। আটক তৃণমূলের অভিযুক্ত মহিলা প্রার্থী।

বর্ধমানের খণ্ডঘোষে গণনাকেন্দ্রে সিপিএম এজেন্টদের মারধরের অভিযোগ। এর জেরে বাম কর্মী-সমর্থকরা অবরোধ করে। অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশকে তাড়া করে সিপিএমের লোকজন। আবার ভাতারে গণনাকেন্দ্রের বাইরে সিপিএমের বিক্ষোভ। এই সময় বিক্ষোভকারীদের হঠাতে লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।

পঞ্চায়েত ভোটে লাগাতার হিংসা, হুমায়ুন কবীর, অভিনেতা তথা বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী পর এবার সরব মদন মিত্র। ‘বাংলায় নির্বাচনে রক্তের হোলি খেলা বন্ধ হোক। রক্তের হোলির মধ্যে দিয়ে এটাই যেন শেষ নির্বাচন হয়’, বলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। অন্যদিকে,হাওড়ার সাঁকরাইলে সিপিএম প্রার্থীদের মারধর করে গণনাকেন্দ্র থেকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল । বাইরে বেরিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন প্রার্থীরা।  গণনাকেন্দ্রের ভিতরে চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ। সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। তৃণমূলের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেছে বিজেপি।

মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের বুথে হারল তৃণমূল। মালদহের মোথাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের কালিয়াচক ১ নম্বর পঞ্চায়েতের ১৮৪ নম্বর বুথ। ওই বুথে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন হাসিদুর রহমান। কংগ্রেস প্রার্থী মাহতাব শেখ জয়ী হয়েছেন ১১০ ভোটে।গণনার দিন উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় বো*মাবাজিতে জখম হলেন তৃণমূল প্রার্থীর পুত্র। জখম যুবকের মা এবং বাবা— দু’জনই শাসকদলের প্রার্থী। বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী তথা বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের সহ-সভাপতি প্রসেনজিৎ ঘোষ এবং ছয়ঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫৫ নম্বর পার্ট-এ তৃণমূলের প্রার্থীর উমা ঘোষের পুত্র জখম হয়েছেন। বনগাঁ দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয়ে বো*মাবাজির অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।

সম্প্রতি, তিন আদিবাসী মহিলাকে দণ্ডি কাটিয়ে তৃণমূলে ফেরানো হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিল বিজেপি। যা ঘিরে সরগরম হয় রাজ্য রাজনীতি। দণ্ডিকাণ্ডে সেই তিন জনের মধ্যে শিউলি মার্ডিকে প্রার্থী করেছিল ঘাসফুল শিবির। দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকের গোফানগর পঞ্চায়েতের ৭১ নম্বর চক বলরাম আসন থেকে জিতেছেন  শিউলি। ১০৫ ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন।

বীরভূমে বরশাল গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২টি আসন। তৃণমূল পেয়েছে ১১টি। বিজেপি পেয়েছে ৮টি, সিপিএম পেয়েছে তিনটি আসন। বরশাল গ্রাম পঞ্চায়েতের বগটুইয়ে চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন। ২টি তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে। বাকি দু’টি আসনও শাসকদলের দখলে। ২০২২ সালের ২১ মার্চ রামপুরহাটের বগটুই মোড়ে বো*মার আঘাতে খু*ন হন বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ। সেই খু*নের পর রাতে বগটুই গ্রামে বহু বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তার জেরে ১০ জনের মৃত্যু হয়। বাঁকুড়া জেলার ১৯০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৯২টি তৃণমূলের দখলে। একটি বিজেপির দখলে।