অবতক খবর : কনকনে শীত। আর এই কনকনে ঠান্ডায় সকলেই নিজের বাড়িতে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন। ঠান্ডায় বাইরে বেরিয়েই বা কি করবে। বিশেষ করে বাড়ির একটু বয়স্করা ঘরে থাকাটাই পছন্দ করেন এই সময়। কিন্তু একমাত্র কাঁচরাপাড়া ১৩ নং ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়েই একমাত্র জমজমাট রাজনৈতিক পরিবেশ দেখা যায়।

বাড়ির মহিলা হোক কিংবা দলের কোনো কর্মী অথবা যুবক-যুবতীরা,সকলেই সেখানেই জড়ো হয়। তার একমাত্র কারণ সেখানে থাকেন কাঁচরাপাড়ার বরিষ্ঠ তৃণমূল নেতা দিলীপ ঘোষ।

সন্ধ্যার পর কাঁচরাপাড়া ঘুরলে দেখা যাবে বহু ক্লাবই ফাঁকা, সেখানে দেখা মেলেনা দলীয় কর্মীদের। শহরে কাঁচরাপাড়া ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের দাসপাড়ার দলীয় কার্যালয়ই একমাত্র যেটি সব সময় জমজমাট থাকে।

সেখানে সন্ধ্যার পর গেলে দেখা যাবে জোরদার চলছে চা আড্ডা, অথবা সকলে মিলে একসাথে বসে খাচ্ছেন মুড়ি চানাচুর। শুধু তাই নয় প্রায় সেখানে ছোটখাটো পিকনিকও হয়ে যায় রাতে।

এই যে সকলের মধ্যে একতা, তা ধরে রেখেছেন দিলীপ ঘোষ। কাঁচরাপাড়া শহরে এইরকম ঐক্যবদ্ধ সংগঠন ধরে রেখেছেন দীলিপবাবু।

এ প্রসঙ্গে দীলিপবাবু বলেন, এটি আমাদের সংগঠন নয়, এটি একটি পরিবার। ছোট থেকে বড় সকলেই এখানে সমবেত হয়ে তাদের সুখ-দুঃখ ভাগ করেন। এমনকি মাঝে মাঝে কথা কাটাকাটি হলেও তা আবার পরে মিটে যায়। ঠিক যেমন একটা বড় একান্নবর্তী পরিবারে হয়ে থাকে,এখানেও বিষয়টি সেই রকমই।

অন্যদিকে দীলিপবাবুর এখানে এইরকম একটি পরিবেশ দেখে এলাকাবাসীরা অত্যন্ত খুশি। তারা বলেন, অন্যান্য ওয়ার্ডে গেলে আপনি দেখতে পাবেন সন্ধ্যার পর যে যার বাড়িতে চলে যায়, ফাঁকা ফাঁকা থাকে এলাকা। কিন্তু এই অঞ্চল সবসময়ই জমজমাট। এই যে মানুষে মানুষে ভালোবাসা, এটা অন্য জায়গায় দেখা যাবে না।

শুধু এই ওয়ার্ডের মহিলারাই নন, অন্যান্য ওয়াটের মহিলারাও সেখানে জমায়েত করে আড্ডা জমিয়ে তোলেন। সাংসারিক গল্প গুজব থেকে শুরু করে রাজনৈতিক সমস্ত বিষয় নিয়েই তারা মেতে থাকেন।

শুধু মহিলারাই নন,ছাত্রদেরও দেখা যায় এখানে এসে ক্যারাম খেলতে। এ নিয়ে তাদের সাথে কথা বললে তারা বলে যে, তারা এখানে থাকতেই বেশী পছন্দ করেন। কারণ এখানকার পরিবেশটাই অন্যরকম।

অঞ্চলের অধিবাসীরা জানান, একমাত্র দীলিপবাবুর জন্যই এটি সম্ভব। তিনি সন্ধ্যা সাতটায় বেরিয়ে গোটা অঞ্চল ঘুরে দেখেন। অঞ্চলে কোন অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছে কিনা বা চারিদিক শান্ত রয়েছে কিনা সেই সব নিজে ঘুরে দেখেন। একজন অভিভাবকের মত তিনি সমস্ত বিষয়টি দেখেন। অন্যদিকে রাত দশটার পর তিনি চলে যান থানার মোড়ে আবুদার পার্টি অফিসে। সেটি তাঁর আবেগ,ভালবাসা।

বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, সুবোধ অধিকারী,যুবনেতা কমল অধিকারীর সহযোদ্ধা হিসেবে তিনিই একমাত্র যিনি শহরকে এভাবে আগলে রেখেছেন। অর্থাৎ তিনি ২৪ ঘন্টা মানুষের জন্য পরিষেবা দিতে প্রস্তুত থাকেন।

তিনি বলেন, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সমাজের যুব আইকন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ ভৌমিক, সুবোধ অধিকারী,কমল অধিকারী তাঁরা যদি 24 ঘন্টা মানুষের পরিষেবা দিতে পারে তবে আমি পারবো না কেন!
আমাদের বিধায়ক সম্পর্কে আমার ভাইপো হলেও, তিনি আমাকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করেন, ভালোবাসেন। তিনি সব সময় বলেন এলাকাকে শান্ত রাখতে হবে মানুষের সেবাই মূল কথা। সেই কথা মাথায় রেখেই আমি মানুষের পরিষেবা দিতে সর্বদা প্রস্তুত থাকি। বিধায়কের যেমন স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে সমাজে, সেটি যেন ক্ষুন্ন না হয় সেদিকে আমি সর্বদা লক্ষ্য রাখি কারণ তার সম্মান ক্ষুন্ন হলে আমাদের সম্মান হানি হবে।