অবতক খবর,৩ ফেব্রুয়ারি: কাঁচরাপাড়ার সিপিএম রাজনৈতিকভাবে অদ্ভুত এক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে।‌বর্তমান পরিস্থিতি দেখে বোঝা যাচ্ছে যে,কাঁচরাপাড়া পৌরসভার ক্ষেত্রে প্রার্থী বাছাইয়ে সিপিএম নেতৃত্ব হিমশিম খাচ্ছে।

এই অঞ্চলের সিপিএমের মধ্যে গোষ্ঠী বিভাজন পরিলক্ষিত হয়েছে এবং এটা সর্বজনবিদিত।

পার্টির নির্দেশ অনুযায়ী ওয়ার্ডে যাদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে,যারা যুব নেতৃত্ব, তাদেরই প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিতে হবে। রাজনৈতিক সূত্রে জানা গিয়েছে যে, কাঁচরাপাড়া অঞ্চলের সিপিএমের নেতৃত্বে যারা রয়েছেন তারা কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাইছেন না। শম্ভু গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে শম্ভু চ্যাটার্জী নিজেই প্রার্থী হতে চাইছেন না। রাজনৈতিক সূত্রে জানা গেছে যে,দেবাশীষ রক্ষিত যিনি নেতৃত্বে রয়েছেন তিনিও খুব সম্ভবত এবার নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না। অন্যতম নেতৃত্ব সুকান্ত রক্ষিত, কল্যাণ মুখার্জী, দেবর্ষি সোম,কেয়ূর ভট্টাচার্য্য,রূপঙ্কর বোস– এঁরা কেউই প্রার্থী হচ্ছেন না।

এদিকে পার্টির নির্দেশ,যদি জনগ্ৰহণযোগ্য প্রার্থী না পাওয়া যায় তবে যারা নেতৃত্বে রয়েছেন তাদের এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। তাহলে দেখা যাচ্ছে, লোকাল কমিটির সদস্য লোকাল নেতৃত্বে যারা আছেন, সাংগঠনিকভাবে পার্টির অথবা ছাত্র বা যুব যেই নেতৃত্বই হোক না কেন,তাদের অংশগ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে কেউ নির্বাচনে দাঁড়াতে রাজি হচ্ছেন না।

অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, কাঁচরাপাড়ার ২৪ টি ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে ১৬ এবং ২১ নং ওয়ার্ডে সিপিআই প্রার্থী দেবে। তাহলে পড়ে রইল ২২টি ওয়ার্ড।

 

এই ২২টি ওয়ার্ডের মধ্যে খুব বেশি হলে ৫টি ওয়ার্ডে শম্ভু চ্যাটার্জী গোষ্ঠীর সমর্থকরা মনোনয়ন পাবেন।‌আর বাকি ১৭টিতে কারা মনোনয়ন পাবেন? ১৭টি ওয়ার্ডে পার্টি নেতৃত্বে যারা রয়েছেন তাদের সমর্থন পুষ্ট প্রার্থীরা মনোনয়ন পাবেন বলে ধরে নেওয়া যায়।

 

রাজনৈতিক বিশ্লেষণে এটি বোঝা যাচ্ছে যে, সিপিএমের নেতৃস্থানীয় যারা রয়েছেন তারা কেউ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝুঁকি নিতে রাজি হচ্ছেন না। তাহলে কি সিপিএম পার্টি আগেভাগেই পরাজয় মেনে নিচ্ছেন কিনা, এ বিষয়ে জনগণের মধ্যে আলোচনা চলছে। অথচ বামমনস্ক মানুষরা চাইছেন ,, গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে বিরোধী পক্ষ হিসেবে যেন সিপিআইএম প্রার্থীরা নির্বাচিত হন। ‌কিন্তু পার্টি নেতৃত্বের যে দৃষ্টিভঙ্গি,যে সাংগঠনিক অবস্থা তাতে বোঝা যাচ্ছে যে, মানুষের সেই আশা আকাঙ্খা তারা পূরণ করতে পারবেন না।