অবতক খবর: গত শুক্রবার সন্ধ্যেতে পশ্চিমবঙ্গে ৩৫৫ ধারা প্রণয়নের আবাদার নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অমিত শাহ সুকান্তর আবদার পত্রপাঠ খারিজ করে দেন। ফলে খালি হাতে শনিবার সকালে কলকাতা চলে আসেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি।

কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সময় চেয়েছিলাম ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ওনার তরফ থেকে সময় দেওয়া হয়েছে। ওনাকে সমস্ত বিষয় বিস্তারিত বলেছি। ভোট পরবর্তী হিংসা যাতে কম হয় তা কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে তা রোখার চেষ্টা করাবেন’। তিনি এও বলেন, ‘বাংলার মানুষের কাছে সুখবর এটাই যে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে। এই যে অরাজকতা তা কমিয়ে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। জানি না, এটা কতদিন থাকবে। এই অরাজকতা কম আছে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়েনি। তাঁর কারণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেখছেন যাতে বাংলার কোন মানুষের প্রাণহানি না হয়।’

সুকান্ত আরও বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির সঙ্গে মৃত্যু ও হিংসার সম্পর্ক হয়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকার আসার পর এই বিষয়টিকে বন্ধ করার জন্য কোন চেষ্টাই করেনি। মুখ্যমন্ত্রীর উচিত যেহেতু তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দায়িত্ব এই মৃত্যুগুলো বন্ধ করা। একজনেরও মৃত্যু ঘটা উচিত না সে তৃণমূল কর্মী হোক বা অন্য কেউ’।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গতকালের তৃণমূল কর্মী মারা যাওয়া মন্তব্য প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আগে ওনাদেরকে ঠিক করে নিতে বলুন পিসি ভাইপোকে। মুখ্যমন্ত্রী বলছে মাত্র উনিশ জন মারা গিয়েছে আর তৃণমূল কংগ্রেসের যদি ৩১ জন মারা যায় বাদবাকি কারও মারা যায়নি। আমরা হিসেবে পড়তে চাই না। বাংলার একজন মানুষের মৃত্যু হওয়া উচিত নয় সে তৃণমূল কংগ্রেস করল তারও মৃত্যু হওয়া উচিত নয়।”

প্রসঙ্গত, ৩৫৫ ধারা ইস্যুতে সুকান্ত মজুমদারের দাবি কার্যত নাকচ করে দিইয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী । শাহ সাফ জানিয়ে দেন, ৩৫৫ জারি করার ক্ষেত্রে প্রশাসনিক জটিলতা রয়েছে। তাই দাবি করলেই হয় না। সবদিক খতিয়ে দেখতে হয়। এখনই ৩৫৫ ধারা জারি করলে রাজনৈতিকভাবে তৃণমূল সুবিধা পাবে। কারণ, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা এখনও অটুট।শাহ রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে বলেন, জোর করে ৩৫৫ অথবা ৩৫৬ জারি করতে গেলে দলের পক্ষে হিতে বিপরীত হবে। তাই কেন্দ্রের দিকে না তাকিয়ে রাজনৈতিকভাবে তৃণমূলের মোকাবিলা করুন। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে এই শাহি পরামর্শ দিলেন।