অবতক খবর: নিজের গড়েই গো হারা হেরে গেলেন ভাঙড়ের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক আরাবুল ইসলাম। আরাবুলের গ্রাম পোলেরহাট ২নম্বরে মুখ থুবড়ে পড়ল শাসক দল। পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েতে মোট ২৪টি আসন ছিল। সবক’টি আসনেই ফল ঘোষণা হয়ে যায় দুপুর আড়াইটের মধ্যে। দেখা যায় ২৩টিতেই জিতে গিয়েছে শাসকবিরোধী জোট। এলাকার জমি রক্ষা কমিটি এবং আইএসএফ জোট বেঁধে লড়েছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘাসফুল শিবির একটিই আসনে জিতেছে। আর সেটি আরাবুলের নিজের বুথ।

মঙ্গলবার পঞ্চায়েত ভোট গণনা শেষ হওয়ার আগেই অবশ্য আরাবুল বুঝে যান, হারতে চলেছেন। পোলেরহাট ২-এ গণনা শেষ হওয়ার আগেই হার স্বীকার করে নেন তিনি। গণনাচলাকালীন পোলেরহাট স্কুলেই উপস্থিত ছিলেন আরাবুল এবং তাঁর সঙ্গীরা। হঠাৎই তাঁদের নিয়ে গণনাকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা। উপস্থিত সাংবাদিকেরা তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কেন তিনি হঠাৎ চলে যাচ্ছেন তিনি? জবাবে আরাবুল জানান, তাঁর বুথ বাদ দিয়ে বাকি বুথ গুলিতে হেরে গিয়েছে তৃণমূল।

আরাবুলের কথায়, ‘‘আমার বুথে জিতেছি। কিন্তু পোলেরহাট ২-এর অন্য বুথগুলোয় হেরেছি। কোথাও ৫ কোথাও ৭ কোথাও ১০ ভোটে হেরেছে আমাদের প্রার্থীরা। আমাদের ৭ জন প্রার্থী শুধুমাত্র ৫-১৫ ভোটে হেরেছে।’’ কিছুটা আক্ষেপের সুরেই আরাবুল এর পর বলেন, ‘‘এই অবস্থা। কী আর করার আছে। হতেই পারে। কিন্তু ১০টা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাকি ৯টাই তৃণমূলের দখলে।’’

তেইশের পঞ্চায়েত ভোটে আরাবুলকে আলাদা করে কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। ক্যানিং ২-এর বিধায়ক শওকত মোল্লা এবং বিধাননগরের পুরসভার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্তকেও দায়িত্ব দিয়েছিল দল। ফলে দলের এই হারের ব্যর্থতার জন্য শুধু আরাবুলের ঘাড়ে চাপালে চলবে না।