অবতক খবর , অভিষেক দাস , মালদা :- কার্যত রাজ্যের মন্ত্রী কে দিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থেকেই আসন্ন বিধানসভার নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর টাউন লাইব্রেরী ময়দানে হরিশ্চন্দ্রপুর এর বিধানসভা কো-অর্ডিনেটর তথা প্রাক্তন বিধায়ক তাজমুল হোসেনের ডাকে প্রকাশ্য জনসভার আয়োজন করা হয়। এই জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানী। গোলাম রব্বানীর ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্টেট কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মোয়াজ্জেম হোসেন, জেলার সাধারণ সম্পাদক জম্মু রহমান, তবারক হোসেন চৌধুরী, হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক সভাপতি হজরত আলী, ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ ব্যানার্জি সহ অন্যান্য নেতৃত্ববৃন্দ।

এদিন গোলাম রব্বানীর সভায় হরিশ্চন্দ্রপুর তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার লোকের সমাবেশ ছিল হরিশ্চন্দ্রপুর টাউন লাইব্রেরী ময়দানে। গোলাম রব্বানী বক্তব্য রাখতে উঠে তিনি তার বক্তব্যে বিজেপিকে বাংলা ছাড়া করার নির্দেশ দেন। বিজেপি দেশের সাম্প্রদায়িক বীজ বপন করছে। বিজেপি সরকার বারবার ইলেকশন ঘোষণার দিন কে নিজের উদ্দেশ্যে পিছিয়ে দিচ্ছে।সিবিআই কে নিজের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে দলের নেতাকর্মীদের আতঙ্কিত করতে চাইছে। বিধানসভা ভোটে খেলা হবে। আর এই খেলা মানুষ খেলবে। সম্পূর্ণ দেশজ ভাষায় তিনি বক্তব্য দিয়ে কর্মী-সমর্থকদের মন জয় করে নেন।বক্তব্যে কোথাও ছিল হিন্দি শায়েরী কোথাও বা বাংলা কবিতা।

 

স্বাস্থ্যসাথী থেকে শুরু করে কন্যাশ্রী রূপশ্রী জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের কথা তিনি তুলে ধরেন। মমতা ব্যানার্জির উদ্যোগে এই জনকল্যাণমূলক সুবিধাগুলো মানুষ টানা দশ বছর ধরে পাচ্ছে।অনুরোধ করেন এখানে প্রার্থী যেই হোন না কেন বাংলার একটাই প্রার্থী মমতা ব্যানার্জি।

এদিকে সভা থেকে সরাসরি এলাকার কংগ্রেস বিধায়ক মুস্তাক আলম কে আক্রমণ করা হয়।প্রাক্তন বিধায়ক তথা ৪৬ বিধানসভা কো-অর্ডিনেটর তাজমুল হোসেন জানান বিগত পাঁচ বছরে এলাকার বিধায়ক মুস্তাক আলম এলাকার উন্নয়নে কিছুই করেন নি। ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এলাকার যা-কিছু উন্নয়ন হয়েছে মমতা ব্যানার্জির হাত ধরেই হয়েছে। আমি বিধায়ক না থাকলেও এলাকার উন্নয়নে জোর দিয়েছিলাম।

এলাকার বিধায়ক কে মানুষ বিপদ আপদে কাছে পান নি। তৃনমূলের কর্মী-সমর্থকরা লকডাউন পরিস্থিতি এমন কি বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এদিকে দিন রাজ্যের মধ্যে জনসভায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার কর্মী-সমর্থকদের ভিড়ও চোখে পড়ার মতো। ভিড়ের জন্য সম্পূর্ণ মাঠেও কর্মীদের জায়গা দেওয়া সম্ভব হয়নি।

অনেক মিছিলকে রাস্তায় আটকে দেওয়া হয়।প্রচুর মানুষ হরিশ্চন্দ্রপুর এর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে সভার বক্তৃতা শুনেছেন। কার্যত রাজনৈতিক তথ্য অভিজ্ঞ মহল মনে করছে আজকের এই সভা থেকে কার্যত তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচনী প্রচারে ডঙ্কা বাজিয়ে দিল। এলাকায় গুঞ্জন তবে কি প্রাক্তন বিধায়ক তাজমুল হোসেন এবার হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে বিধানসভার শাসক দলের পদপ্রার্থী।