অবতক খবর, শিলিগুড়ি: মুখ্যমন্ত্রী শিলিগুড়ি থাকাকালীন শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের নিউ জলপাইগুড়ি থানার অন্তর্গত শক্তিগড় এলাকায় এক সিভিক ভলেন্টিয়ার এর মোবাইল চুরির ঘটনায় মোহাম্মদ আজাদ ও বাবাই কর্মকার নামে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তারের পর তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরেক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ। নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশের হাতে প্রথম গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্ত মহাম্মদ আজাদ এর বাড়ি শিলিগুড়ি থানার অন্তর্গত নিচ পাড়া ঝংকার মোড় এলাকায় মোহাম্মদ আজাদের মোটরবাইকটিও আটক করেছিল পুলিশ। ওই বাইকে করেই সিভিক ভলেন্টিয়ার এর মোবাইল ছিনতাই করেছিল অভিযুক্ত। নিউ জলপাইগুড়ি থানা সাদা পোশাকের পুলিশ বিভিন্ন সূত্র কে কাজে লাগিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। পুলিশ অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে সে ওই মোবাইল এক যুবককে বিক্রি করে দিয়েছে গত শনিবার অভিযুক্তকে জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠিয়ে পুনরায় তাকে পুলিশ হেফাজতে নেয় নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ। এবং তারপর খোয়া যাওয়া মোবাইলের খোঁজে তদন্ত শুরু করে। অবশেষে মিলল সাফল্য। সিভিক ভলেন্টিয়ার এর মোবাইল চুরি এবং চুরির মোবাইল কেনার অভিযোগে গ্রেফতার হয় দুই দুষ্কৃতী। গত সোমবার রাতে গ্রেপ্তার হওয়া দুষ্কৃতীর নাম বাবাই কর্মকার । ধৃত বাবাই কর্মকারের বাড়ি শিলিগুড়ি থানার অন্তর্গত ঝংকার মোড় এলাকায় । বাবাই কর্মকারের হেফাজত থেকে উদ্ধার হয়েছে খোয়া যাওয়া মোবাইল টিও।ধৃতকে মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠানো হয়। বাবাই কর্মকারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রবি রায় নামে এই মোবাইল চুরির ঘটনায় জড়িত আরেক যুবকের নাম পায় নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে তৃতীয় অভিযুক্ত রবি রায় কে গ্রেফতার করে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ। ধৃত রবি রায় কে শুক্রবার জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠানো হয়।