অবতক খবর,৭ সেপ্টেম্বরঃ আজ মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম হলে মুর্শিদাবাদের কংগ্রেসের নবনির্বাচিত জেলা পরিষদের প্রার্থীদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয় এবং আগামী দিন কংগ্রেসের চলার পক্ষে কি ভূমিকা? সে বিষয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতবর্ষের বিরোধী দলনেতা ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

অধীর রঞ্জন চৌধুরী আজ জেলা পরিষদে কংগ্রেসকে বিরোধীদলের দলনেতা করার পক্ষে তিনি বলেন বিরোধীদলের মর্যাদা নিয়ে আমরা বিন্দুমাত্র চিন্তিত নই। তিনি বলেন পশ্চিমবঙ্গে এই সরকারের বিরোধী থাক আর সরকারি থাক কোথাও কোন মূল্য নাই। তিনি আরো বলেন গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা হারিনি আমাদেরকে সন্ত্রাস করে প্রশাসনিক ভাবে লুটতরাজ করে হারানো হয়েছে জনগণ আমাদের জিতিয়েছেন। পরিযায়ী শ্রমিকদের সম্বন্ধে তিনি বলেন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের দেখার কেউ নেই। যখন কোভিড হয়েছিল তখন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে বলা হয়েছিল যে আপনারা দপ্তর খুলুন, পরিযায়ী শ্রমিকদের সংখ্যা কত আমরা কেউ জানিনা।

এই পরিযায়ী শ্রমিক রাজ্যের বাইরে যেমন আছে ,দেশের বাইরেও আছে। আমরা এখানে কিছু পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর খবর জানতে পারছি কিন্তু সৌদি আরবে কুয়েতে যেসব পড়ে যায় শ্রমিকের মৃত্যু হচ্ছে তার খবর জানাও যাচ্ছে না তার দেহ বাড়িতে আসছে না। তিনি খোপের সঙ্গে বলেন পশ্চিমবঙ্গে আজ অভাব দারিদ্র এতটাই যে এখানকার মানুষ কাজের জন্য বাইরের দেশে চলে যায়। তিনি বলেন আজকে পশ্চিমবঙ্গ হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঠিকানা। কারণ পশ্চিমবঙ্গের রুটিনায় রুজি নাই মানুষ রুটি রুজির জন্য বাইরে দেশে চলে যাচ্ছেন। ঝালদা পৌরসভা তৃণমূলের দখল সম্বন্ধে তিনি বলেন এই সরকার সর্বভুক এরা সবকিছু গিলে খাবে এরা অন্য কাউকে কোন জাগায় থাকতে দিবে না তার জন্য এদের সঙ্গে আছে পুলিশ হার্মাদ বাহিনী এইসবের যৌথ উদ্যোগে এরা কখনোই অন্যদেরকে কোন জায়গায় থাকতে দিবে না। তিনি বাং ১০০ দিনের কাজ সম্বন্ধে বলেন এতদিন কেন আন্দোলন করলেন না যে করতে মানা করেছে যখন চোর ছ্যাচ্চর দের জন্য কোর্টে কারি কারি টাকা ঢালছেন দিয়ে যাতে দিতে না হয়, তার জন্য টাকা খরচ করে সুপ্রিম কোর্টে আছেন আর বাংলার মানুষ যখন ১০০ দিনের কাজ পাচ্ছে না তখন স্তব বাক্য করছেন যে আন্দোলন করবো। রাজ্যপালের সরকারকে চ্যালেঞ্জ যে আচার্য হিসাবে উপাচার্য নিয়োগ বৈধ। বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন রাজ্যপাল এই সম্বন্ধে অধীর বলেন এই বাংলায় রাজ্য এক কথা বলে তো রাজ্যপাল আর এক কথা বলেন কোন আইন শাসকদলের বিপক্ষে গেলে সে যত বড়ই হোক না কেন মানা যাবে না।