অবতক খবর,৫ জুনঃ‌ সোমবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ।

বালেশ্বর রেল দুর্ঘটনায় সিবিআই তদন্তের সুপারিশ রেলমন্ত্রী। ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রেলমন্ত্রীর। পয়েন্ট সিগনাল বদল করে দুর্ঘটনা ঘটানো হতে পারে। মমতার রেল কবচ তত্ত্ব খারিজ রেলের।

অনেক রকম প্রশ্ন উঠছে, এত বড় ঘটনা হয়েছে কারণটা কি? অনেক কিছু হতে পারে। পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন লোক বিভিন্ন রকম কথা বলছে। স্বাভাবিকভাবে এই ধরনের ঘটনা আগামী দিনে না হোক তার জন্য সরকারের ব্যবস্থা হওয়া উচিত সেই জন্য সিবিআই ইনকোয়ারি হলে সব কিছু তথ্য সামনে আসবে সবার ধারণা এরকমই থাকে। সরকারো চেয়েছে সেটা যদি সিবিআই ইনকোয়ারী হয় সত্য সামনে আসবে। মমতা ব্যানার্জি কি করেছেন আমরা জানি তার সময় প্রায় সাড়ে পাঁচশোর মত অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে। সাড়ে আটশ ডিটেল্মেন্ট হয়েছে ১৪০০ এর মতো লোক মারা গেছে।আজকে তিনি বড় বড় কথা বলছেন তখন কেন লাগাননি কবজ তখন কেন আধুনিকরণ করেনি রেলের তাহলে এই সমস্যা হতো না। তখন রেলকে আটকে রেখেছিলেন ভাড়া বাড়তে দেবেন নাসুবিধা দেবেন না। তার মন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন তাকেই পাল্টে দিলেন উনি। রেল বাজেট পেশ করে আলোচনা করতেই পারলে না তার আবার বড় বড় কথা বলছেন। রেলকে লুটেছেন ওনারা। নিজের লোকদের চাকরি দিয়েছেন সব। সব থেকে বড় ঘোটালা রেলে হয়েছে। তখন থেকে দুর্নীতি করতে শিখেছেন রেল থেকে। আজকে রেলের দূর্দশা কেন? কেন মোদিজিকে এত কষ্ট করতে হচ্ছে সেই জন্য যারা কিছুই করেনি লুট করেছেন তাদের বড় বড় কথা বলা সাজেনা। সরকার কাজ করছে গত ৯ বছরের মধ্যে কটা এক্সিডেন্ট হয়েছে এক্সিডেন্ট কমেছে। এক্সিডেন্ট এক্সিডেন্ট হয়েছে এত লোকের জীবনানি হয়েছে সরকার সমস্ত সত্য খুঁজে বার করবে।

যার গ্রেফতার হওয়ার কথা, পদত্যাগ করার কথা, সে বলছে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ। সবুজ পতাকা হাতে উদ্বোধন করে কৃতিত্ব নিলে মৃত্যুর দায়ও নিতে হবে। রেলমন্ত্রীকে আক্রমণ অভিষেকের।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিরদিন পদত্যাগের নাটক করেছেন কোন দায়িত্ব নেন নি কোন কাজ পুরো করেননি। যখন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন ওনার যোগ্যতা বুঝা গেছে। আর ভাইপো জীবনে কি করেছেন তিনি সমালোচনা করে দায়িত্ব শেষ করছেন পদত্যাগ চাইছেন। পদত্যাগ নয় পদে থেকে কাজ করে দেখানো টাই হচ্ছে পুরুষ যেটা ওনাদের মধ্যে নেই।

রেলমন্ত্রী থাকাকালীন অ্যান্টি কলিশন ডিভাইসের ব্যবস্থা। কেন ছিল না? সিগনালিং সিস্টেম ভগবানের দয়ায় চলছে। সমন্বয় ছিল না। আক্রমণ মমতার।

অ্যান্টি কলিউশন যদি উনি করে থাকেন তার পরে যারা মন্ত্রী হয়েছেন সেই সময় এত এক্সিডেন্ট কেন হয়েছে। যারা মারা গেছে এদের জীবনের দাম নেই। যখন ঝাড়গ্রামে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের অ্যাক্সিডেন্ট হলো উনারা প্রেস করে বলেছিলেন যে মাওবাদী হাত আছে। এখন বলছেন পদত্যাগ চাই তখন কেন পদত্যাগ চাননি রেলমন্ত্রীর। এসব ড্রামা আমরা জানি লোক ভুলে যাবে না এত সহজে। আপনারা রোজ রোজ নাটক করেন সব মনে আছে।

ফিরহাদ বলছেন- কীসের জন্য কবচ ? রেলমন্ত্রীর গায়ে পরানোর জন্য ? মেক ইন ইন্ডিয়া এখন ডিজাস্টার ইন্ডিয়া।

রেলমন্ত্রীর গায়ে পরাতে ‘কবচ’

যিনি ডগে তুলে দিয়েছেন কর্পোরেশনের লোককে জল দিতে পারেন না একটা তুফান এলো সাত দিন জল নেই বিদ্যুৎ নেই তার যোগ্যতা আমরা জানি। লোকের সমালোচনা করে উনারা ভাবছেন এই সব উল্টোপাল্টা বলে দুর্নীতি টাকে চাপা দেবেন। বাঁচার কোন রাস্তা নেই সবকটাকে ভেতরে যেতে হবে।

আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবস সেই নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন……..

বিশ্ব পরিবেশ দিবস আমরা সব থেকে বেশি ভুগছি যে হিট ওয়েব চলছে পরিবেশের উপর যে অত্যাচার হচ্ছে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে এটাই তার কারণ। সারা বিশ্বেতে পরিবেশ রক্ষার চেষ্টা হচ্ছে। সারা দেশ চেষ্টা করছে ভারতে চেষ্টা করছে জিরো পলিউশন এর দিকে যেতে। সমস্ত মানুষকে এতে সহযোগিতা করতে হবে। আমরা কষ্ট থেকে বাঁচার জন্য বাড়িতে এসি লাগাচ্ছি তার জন্য আরও তাপমাত্রা বাড়ছে এখানে এত তাপ আগে কখনো আমরা দেখিনি প্রচন্ড তাপপ্রবাহ চলছে। আমার মনে হয় এই ব্যাপারে মানুষকে সতর্ক করার সময় এসেছে। যতই সব বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে তার তাপে আরও গরম হয়ে যাচ্ছে পরিবেশ এবং প্রতিবছর বাড়বে। এদিকে গাছ কমে যাচ্ছে কমপক্ষে এবার দেখতে পাচ্ছি লিচু নেই অন্যান্য ফল নেই কারণ বাগান সব শেষ হয়ে গেছে। পয়সার পিছনে ছুটতে গিয়ে কষ্ট বাড়ছে আমাদের।