যদি না লিখি হবে আমার পাপ। তোমরা আমাকে দিও না কোনো অভিসম্পাত

মনিপুর, ক্ষমা করে দিস
তমাল সাহা

মনিপুর বৈষ্ণব করতাল মৃদঙ্গ রসকলির দেশ
র*ক্তে ভেসে যায়, আ*গুন গিলে খায় ক্রমাগত ছড়ায় হিংসা-বিদ্বেষ।

হুমকি দিয়েছে তারা, আমার উপর কড়া নজরদারি।
ক্ষমা করে দিস মনিপুর! তুই-ই বল এখন আমি কী করি?

আ*গুন র*ক্ত লেখা যাবে না,
দেখানো যাবে না পোড়ামুখ দাহ্য ঘরবাড়ি।
চিত্রকল্পে তাই লিখি, পাহাড়ি ঢালে ঝরে পড়ে একের পর এক সবুজ পাতা।
হাসপাতালে জখমির সংখ্যা কত সেবিকার হাতে রেজিস্ট্রি খাতা।
নিহত কত মানুষ পড়ে আছে রাস্তায়
তুমি লিখতে পারবে না শব্দটি যত ইচ্ছে মানুষ মরুক দা*ঙ্গায়!
কত মানুষ বাস্তুভিটে হারা, কত মানুষ ত্রাণ শিবিরে
আমি কি করবো জানিনা, নিজেই হতাশ
কোদাল নিয়ে নিজেই এখন নিজের কবর কাটুরে।

হাত জোড় করে কাকুতি মিনতি করে মেরি কম, আমার জন্মভূমি বাঁচাও!
দক্ষিণ মহাসাগর পারের মানুষ তোমরা কি শুনতে পাও?

ওরা আমাকে একলা পেয়ে রোজই শাসায়
এমন কোনো ছবি দেবে না তুমি সত্যি হলেও ওয়ালের পাতায়।
কী আছে আমার শব্দাস্ত্র ছাড়া
মরে যাব আমি, এতো কঠিন পাহারা!
আর্তনাদে বুক বিদীর্ণ হতে চায়
ক্ষমা করে দিস মনিপুর!
মাথা নত করে আছি তোর পায়ের পাতায়।

ছবি: আরো বীভৎস ছবি ছিল, ‘ভয়ে’ দিতে পারলাম না। বলছে ব্লক করে দেবে। হেরে গেছি, ক্ষমা চাইছি।