অবতক খবর: মণিপুরের ঘটনা নিয়ে বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই উত্তাল সংসদের ভিতর এবং বাইরে। জাতিগত হিংসার ঘটনায় বিজেপি সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছে দেশের বিরোধী দলগুলি। এই নিয়ে প্রথম দিন থেকেই বারবার মুলতুবি হয়েছে বাদল অধিবেশন।

সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানালেন, কেন্দ্রীয় সরকার সংসদে মণিপুরের ঘটনা নিয়ে আলোচনা করতে তৈরি। সেই আলোচনা করার জন্য বিরোধীদের কাছ থেকে সহযোগিতা চান শাহ। তিনি বলেছেন, ‘এই স্পর্শকাতর ঘটনার সম্পর্কে সব সত্যি জানা উচিত দেশবাসীর।’

সম্প্রতি, জাতিগত হিংসায় ছারখার জর্জরিত মণিপুর। মেইতেই ও কুকিদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে , হিংসার আগুনে ঘি পরেছে মণিপুরের একটি পুরনো ভিডিও যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ভিডিও’তে দেখা গিয়েছিল, বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী দুই মহিলার ওপর দানবীয় অত্যাচার করছে। এই ঘটনা সামনে আসতেই গোটা দেশজুড়ে উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়। মণিপুরের বিজেপি সরকার থেকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার দুই প্রশাসনকেই মণিপুরের হিংসার ঘটনার জন্য দায়ী করে আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধীরা। অধিবেশনের প্রথম দিনে বিরোধী সাংসদদের তুমুল হইহট্টগোলের পরে আগামীকাল পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভা।

ইতিমধ্যেই হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন রাহুল গান্ধি। তৃণমূলের প্রতিনিধি দলও হিংসাগ্রস্ত মণিপুর পরিদর্শন করেছে। মণিপুর গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নীরব ছিলেন। হিংসার ৭৮ দিন পর ৩০ সেকেন্ডের জন্যে মোদি বক্তব্য পেশ করেন। যাতে বিরোধীরা সন্তুষ্ট নয়। প্রধানমন্ত্রী ভাইরাল ভিডিও ঘটনাতে দোষীদের কড়া শাস্তির আশ্বাস দিলেও চিড়ে ভিজছে না। সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে অনড় বিজেপি বিরোধী দলগুলি।