অবতক খবর: বিগত আড়াই মাস ধরে হিংসার আগুনে জ্বলছে মণিপুর। এই মুহুর্তে মণিপুরের দুই মহিলাকে নগ্ন করে গ্রামে ঘোরানোর একটি ভিডিও ঘিরে তোলপাড় গোটা দেশ। এমন আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, “মণিপুরের ভয়ঙ্কর ভিডিওটি যেখানে দুই মহিলার সঙ্গে নির্মম অত্যাচার করা হয়েছে তা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। নারীদের উপর যে হিংস্র আচরণ হয়েছে তা ভাষায় প্রকাশযোগ্য নয়। এই বর্বরতা সবকিছুর ঊর্ধ্বে। বিচারের দাবিতে এবং এই অমানবিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াতে হবে”। টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী প্রতিবাদে সরব হয়েছেন।

লজ্জায় মাথা হেঁট করেছে মণিপুরের ঘটনা। ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ।১৯ জুলাই হিংসা-জর্জরিত মণিপুরে নারী-নিগ্রহের ভাইরাল ভিডিও দেখে শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। ক্ষোভে ফুঁসছেন সকলেই। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে প্রথমে গণধর্ষণ, তার পর সম্পূর্ণ নগ্ন করে গ্রামের রাস্তায় হাঁটানোতেই ।

এখানেই শেষ নয়, নির্যাতিতারা যখন রেহাইয়ের আর্জি জানিয়ে কাঁদতে কাঁদতে হাঁটছেন, তখনও তাঁদের ‘শ্লীলতাহানি’ চলেছে। এই ঘটনায় আলোড়িত গোটা দেশ, রাজনৈতিক মহল থেকে বিনোদন দুনিয়া, এ নিয়ে একে একে সরব হয়েছেন প্রায় সকলেই। এবার শোক প্রকাশ করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

অন্যদিকে, হিংসার ৭৮ দিন পর মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুর আগে তিনি বলেন, “মণিপুরে মা-বোনেদের অসম্মান যারা করেছে তারা রেহাই পাবে না। মহিলাদের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।”ইতিমধ্যে বিজেপি শাসিত মণিপুর রাজ্য সরকারের পুলিশ মামলা রুজু করেছে।

মণিপুরের পৈশাচিক এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই পুলিশ সুপার কে মেঘাচন্দ্র সিংহ একটি প্রেস বিঞ্জপ্তি জারি করেন। যাতে লেখা থাকে, ২০২৩-র ৪ মে, ২ মহিলাকে অজ্ঞাতপরিচয় সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের সম্পূর্ণ নগ্ন করে ঘোরানোর ঘটনায় অপহরণ, গণধর্ষণ এবং খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে থৌবাল জেলার নোঙ্গপোক সেঙ্গমাই পুলিশ স্টেশনে রুজু করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করে মণিপুর রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করেছে মূল অভিযুক্তকে । পাশাপাশি  বুধবার রাত থেকেই মহিলাদের নগ্ন করে হাঁটানোর ভিডিও নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। ওই ঘটনাতেই প্রতিবাদে মুখর হল প্রতিবাদের আঁতুরঘর উত্তরপূর্বের রাজ্যের চূড়াচাঁদপুর। বর্বর ঘটনায় দোষীদের চরম শাস্তির দাবি জানাল জনতা।