অবতক খবর: ভূপতিনগর বিস্ফোরণ কাণ্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা পরিষদ প্রার্থী মানব বড়ুয়াকে তলব করল এনআইএ। এদিকে তার আগে আগামিকাল, ৪ জুলাই এই মামলায় তলব করা হয়েছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য বলাইচরণ মাইতিকেও। উল্লেখ্য, এই বিস্ফোরণে তৃণমূলের বুথ সভাপতি ও শাসকদলের ২ কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। গতবছর ডিসেম্বর মাসে ভয়াবহ বিস্ফোরণ কেঁপে উঠেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর।

ভূপতিনগরে বিস্ফোরণে এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়ে আগেই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেও একই দাবি জানিয়েছিলেন। গত ৯ জুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে এনআইএ এই বিস্ফোরণের তদন্ত করবে। সেই মতো তদন্তে নেমে তিন সপ্তাহের মধ্যেই দুই তৃণমূল নেতাকে জেরার জন্য তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে ৭ মাস পুরনো বিস্ফোরণ কাণ্ডে দলীয় প্রার্থীকে তলবের ঘটনায় স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়বে শাসকদল।

প্রসঙ্গত, গত ৩ ডিসেম্বর কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি শান্তিকুঞ্জের সামনে বিশাল জনসমাবেশ করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগের রাতে, অর্থাৎ, ২ ডিসেম্বর পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর ২ ব্লকের ভূপতিনগর থানার অর্জুননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাড়য়াবিলা গ্রামে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছিল। ঘটনায় মৃত্যু হয় তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না, তাঁর ভাই দেবকুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েনের। অভিযোগ, রাজকুমার মান্নার বাড়িতে বোম বাঁধার কাজ চলছিল। সেই সময়ই এই বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের মাত্রা এতটাই তীব্র ছিল যে রাজকুমারের বাড়ির ছাদ উড়ে যায়। এদিকে যেখানে বিস্ফোরণ ঘটে, সেখান থেকে অভিষেকের সভাস্থলের দূরত্ব ছিল মাত্র ৪০ কিলোমিটার।

এদিকে এই বিস্ফোরণ নিয়ে রসহ্যের অন্ত ছিল না। বিস্ফোরণের পর বিধ্বস্ত বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূর থেকে উদ্ধার হয়েছিল মৃতদেহগুলি। এদিকে ঘটনার পর এলাকায় ফরেনসিক টিম পৌঁছেছিল অনের দেরিতে। তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। বিজেপি অভিযোগ করেছিল, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।