অবতক খবর: ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী  কোথায় কী দায়িত্বে থাকবে, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে কমিশন। আর এখনও পর্যন্ত যা সিদ্ধান্ত, তাতে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কি না, সেই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশিকা ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

নির্দেশিকায় কি বলা হয়েছে? বলা হয়েছে বাহিনী মোতায়েন করা হবে মূলত এরিয়া ডমিনেশনে, নাকা চেকিংয়ে। সাধারণ মানুষের অর্থাৎ ভোটারদের আস্থা তৈরিতে, রাজ্য ও আন্তর্জাতিক সীমানার চেক পয়েন্টে এবং পেট্রোলিংয়ের কাজে তাঁদের ব্যবহার করা হবে। বিশেষত যে সব এলাকায় অশান্তির অভিযোগ উঠেছে, সেই সব এলাকায় রুট মার্চ ও পেট্রোলিংয়ের কাজ আরও বেশি করে করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। গোটা জেলায় মোবাইল ফোর্স বা ভ্রাম্যমান বাহিনী হিসেবে কাজ করবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। যদিও কমিশন সূত্রে খবর, এই সিদ্ধান্ত পুরোটাই কেবল আপাত একটি বিষয়। এটি ভোটের দিনের জন্য নয়।

প্রসঙ্গত, রাজ্য নির্বাচন কমিশন থেকে প্রথমে ২২ কোম্পানি বাহিনী চাওয়া হয়েছিল। সেই বাহিনী আগেই মোতায়েন হয়ে গিয়েছে। এবার ৩১৫ কোম্পানি বাহিনীও কোথায় কী মোতায়েন হবে, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলে ফেলল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে হাইকোর্টের নির্দেশের পর কমিশন ২২ কোম্পানির পর আরও ৮০০ কোম্পানি বাহিনী চেয়েছিল। সেক্ষেত্রে ৩১৫ কোম্পানি বাহিনীই এখনও পর্যন্ত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত বাংলার পঞ্চায়েত ভোটের জন্য ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনী থাকছে। বাকি ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী নিয়ে কী হবে, সেই বিষয়টি নিয়ে এখনও জটিলতা রয়েই গিয়েছে।