অবতক খবর,১৭ এপ্রিল: কাঁচরাপাড়া থেকে ব্যারাকপুর পর্যন্ত অটোর দৌরাত্ম্য যেন বেড়েই চলেছে। টোটোর সংখ্যাকেও ছাপিয়ে যাচ্ছে অটো। কাঁচরাপাড়া হালিশহরে বিভিন্ন নেতাদের হাত ধরেই নেমেছে বহু অটো, কিছুদিন আগে এমনই দাবি করেছিলেন এই অঞ্চলের বিরোধী নেতৃত্বরা। RTO লেখা নতুন অটো চারিদিকে চলছে। কিন্তু খতিয়ে দেখলে দেখা যাবে অধিকাংশেরই পারমিট নেই। সিটু নেতা শম্ভু চ্যাটার্জী কিছুদিন আগে অভিযোগ করেছিলেন যে,একটি রুটে এত পারমিট হতেই পারে না। তিনি বলেছিলেন,এই অঞ্চলে মানুষের থেকে অটোর সংখ্যা বেশি।

এরই মধ্যে গত ১৩ এপ্রিল মন্ত্রী তথা ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক সাফ জানিয়ে দিলেন যে,এই সব কিছুর তদন্ত হবে। অর্থাৎ এই অটো পারমিট ছাড়া চলছে কিনা তার তদন্ত হবে। তিনি আরো বলেন, সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী প্রিয়াঙ্গু পান্ডে এক সময় পরিবহন দপ্তরের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি নাকি প্রচুর বেআইনি অটো নামিয়েছেন। এ নিয়ে তদন্ত হবে এবং অনেক অটো বাতিল হবে।

এখন প্রশ্ন,প্রিয়াঙ্গু পান্ডে যখন তৃণমূলে ছিলেন তখন নিশ্চয়ই এই বেআইনি অটো নামানোর পিছনে আরো নেতাদের হাত রয়েছে! এই ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে বেআইনিভাবে অটো নামবে আর নেতারা জানবে না,তা তো হতে পারে না!

প্রিয়াঙ্গু পান্ডে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুললেন যে, যত অটো নামানো হয়েছে তা সমস্তই প্রিয়াঙ্গু পান্ডে নামিয়েছে।

তবে কি স্থানীয় নেতৃত্বদেরও হাত রয়েছে এই অটো নামানোর পেছনে? সেই তদন্ত কি হবে?

বীজপুরে বিজেপি নেতৃত্বরা বলছেন যে,স্থানীয় নেতৃত্বদের মদতেই এই বেআইনি অটোগুলি নামানো হয়েছিল। প্রিয়াঙ্গু পান্ডে তো কিছুই না!

অন্যদিকে সিপিএম নেতৃত্বরা বলছেন,এরা তো বিজেমূল! এই দুই দলেরই যোগসাজসে সমস্ত বেআইনি কাজ হয়। এই বেআইনি অটোর দৌরাত্ম্যে পুরনো খেটে খাওয়া অটো ড্রাইভাররা এখন বিপদে পড়ে গেছে।

মন্ত্রীর কথা অনুযায়ী এখন দেখার বিষয় যে, এই বেআইনি অটো গুলি নিয়ে কি সত্যিই তদন্ত হবে? নাকি এইরকম অরাজকতা চলতেই থাকবে!!